2. তখন বনি-ইসরাইলরা মাবুদের কাছে মানত করে বলল, “অরাদের এই লোকদের তুমি যদি আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দাও, তবে আমরা তাদের গ্রাম ও শহরগুলো একেবারে ধ্বংস করে ফেলব।”
3. মাবুদ তাদের এই বিশেষ অনুরোধ শুনলেন এবং সেই কেনানীয়দের তাদের হাতের মুঠোয় এনে দিলেন। বনি-ইসরাইলরা তাদের এবং তাদের গ্রাম ও শহরগুলো একেবারে ধ্বংস করে ফেলল। সেইজন্য ঐ জায়গাটার নাম হল হর্মা (যার মানে “ধ্বংসের অধীন”)।
6. তখন মাবুদ তাদের মধ্যে এক রকম বিষাক্ত সাপ পাঠিয়ে দিলেন। সেগুলোর কামড়ে অনেক ইসরাইলীয় মারা গেল।
7. তখন লোকেরা গিয়ে মূসাকে বলল, “মাবুদ ও আপনার বিরুদ্ধে কথা বলে আমরা গুনাহ্ করেছি। আপনি এখন মাবুদের কাছে অনুরোধ করুন যেন তিনি এই সব সাপ আমাদের কাছ থেকে সরিয়ে নেন।” তখন মূসা লোকদের জন্য অনুরোধ করলেন।
8. এর জবাবে মাবুদ মূসাকে বললেন, “তুমি একটা সাপ তৈরী করে একটা খুঁটির উপরে রাখ। যাকে সাপে কামড়াবে সে ওটার দিকে তাকালে বেঁচে যাবে।”
9. তখন মূসা একটা ব্রোঞ্জের সাপ তৈরী করে একটা খুঁটির উপরে লাগিয়ে রাখলেন। কাউকে সাপে কামড়ালে সে ঐ ব্রোঞ্জের সাপের দিকে চেয়ে দেখত আর তাতে সে বেঁচে যেত।
14-15. “মাবুদের যুদ্ধ” নামে বইটাতে আছে, “আর্ শহরের দিকে চলে যাওয়া শূফা এলাকার বাহেব এবং অর্ণোন ও তার উপনদী বয়ে যাওয়া খাদগুলো এবং খাদের পাশে পাহাড়ের গায়ের ঢালু জায়গা, যেগুলো মোয়াবের এক দিকের সীমানা।”
16. সেখান থেকে যাত্রা করে বনি-ইসরাইলরা বের নামে একটা কূয়ার কাছে আসল। এই কূয়ার কাছে মাবুদ মূসাকে বললেন, “তুমি লোকদের একসংগে জমায়েত কর, আমি তাদের পানি দেব।”
17. তখন বনি-ইসরাইলরা এই গজলটি করল:“হে কূয়া, তুমি পানিতে ভরে ওঠো।তোমরা এই কূয়ার বিষয় নিয়ে গজল গাও।
18. এটা সেই কূয়া যা শাসনকর্তারা শাসনদণ্ডের জোরে খুঁড়েছেন,যা গণ্যমান্য লোকেরা লাঠির জোরে করেছেন।”তারপর বনি-ইসরাইলরা সেই মরুভূমি থেকে মত্তানায়,
19-20. মত্তানা থেকে নহলীয়েলে, নহলীয়েল থেকে বামোতে এবং বামোৎ থেকে মোয়াবের উপত্যকায় গেল। সেই উপত্যকার কাছে পিস্গা পাহাড়শ্রেণীর মধ্যেকার সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের উপর থেকে মরুভূমির যিশীমোন নামে জায়গাটা দেখা যায়।
21. বনি-ইসরাইলরা আমোরীয়দের বাদশাহ্ সীহোনের কাছে লোক পাঠিয়ে অনুরোধ করল,
22. “আপনার রাজ্যের মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে দিন। আমরা রাস্তা ছেড়ে কোন জমির মধ্যে বা আংগুর ক্ষেতে যাব না, কিংবা কোন কূয়া থেকে পানিও খাব না। আপনার রাজ্য পার হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ধরেই চলতে থাকব।”
23. কিন্তু সীহোন তাঁর রাজ্যের মধ্য দিয়ে বনি-ইসরাইলদের যেতে দিলেন না। তিনি তাঁর সমস্ত সৈন্যদল নিয়ে মরুভূমিতে বনি-ইসরাইলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন। তিনি যহস শহরে উপস্থিত হয়ে বনি-ইসরাইলদের সংগে যুদ্ধ করলেন।
24. এই যুদ্ধে বনি-ইসরাইলরা তাঁকে হত্যা করে অর্ণোন নদী থেকে যব্বোক নদী পর্যন্ত তাঁর দেশটা অধিকার করে নিল। তারা কেবল অম্মোনীয়দের সীমানা পর্যন্ত অধিকার করতে পেরেছিল, কারণ অম্মোনীয়দের দেশের সীমানাটা এমন ছিল যা ডিংগিয়ে যাওয়া সহজ ছিল না।
25. বনি-ইসরাইলরা হিষ্বোন ও তার আশেপাশের গ্রামগুলো সুদ্ধ আমোরীয়দের সমস্ত শহর দখল করে নিল এবং সেখানে বাস করতে লাগল।
26. হিষ্বোন ছিল আমোরীয়দের বাদশাহ্ সীহোনের রাজধানী। তিনি মোয়াব দেশের আগেকার বাদশাহ্র সংগে যুদ্ধ করে তাঁর কাছ থেকে অর্ণোন নদী পর্যন্ত সমস্ত দেশটা দখল করে নিয়েছিলেন।
27. এইজন্যই কবিরা বলেছেন:“তোমরা হিষ্বোনে এসে শহরটা আবার গড়ে তোলো।সীহোনের শহরটা আবার গড়ে তোলা হোক।
28. সীহোনের শহর হিষ্বোন থেকে আগুন বেরিয়ে এসেমোয়াব দেশের আর্ শহরটা পুড়িয়ে দিলআর অর্ণোন নদীর কাছের উঁচু জায়গার বাসিন্দাদের পুড়িয়ে দিল।
29. হায় মোয়াব!হে কমোশ-দেবতার লোকেরা, তোমরা ধ্বংস হয়ে গেছ।কমোশের ছেলেরা পালিয়ে গিয়েছেআর মেয়েরা আমোরীয়দের বাদশাহ্ সীহোনের বন্দিনী হয়েছে।
30. কিন্তু আমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি।দীবোন পর্যন্ত হিষ্বোন ধ্বংস হয়ে গেছে।মেদবা পর্যন্ত চলে গেছে যে নোফঃসেই জায়গা পর্যন্ত আমরা ধ্বংস করেছি।”
31. এর পর বনি-ইসরাইলরা আমোরীয়দের দেশে বাস করতে লাগল।
32. মূসা যাসের শহরে গোয়েন্দা পাঠিয়ে দেবার পর বনি-ইসরাইলরা সেই শহরের আশেপাশের গ্রামগুলো দখল করে নিল এবং সেখানকার আমোরীয়দের তাড়িয়ে দিল।
33. তারপর তারা ঘুরে বাশন দেশের রাস্তা ধরে এগিয়ে যেতে লাগল। তখন বাশনের বাদশাহ্ উজ তাঁর সমস্ত সৈন্য-সামন্ত নিয়ে বের হয়ে তাদের সংগে যুদ্ধ করবার জন্য ইদ্রিয়ী শহরে উপস্থিত হলেন।