শুমারী 13:22-33 Kitabul Mukkadas (MBCL)

22. তাঁরা নেগেভের মধ্য দিয়ে গিয়ে হেবরন শহরে উপস্থিত হলেন। হেবরন শহরটা গড়ে উঠেছিল মিসরের সোয়ন শহর গড়ে উঠবার সাত বছর আগে। সেখানে অনাকের বংশের অহীমান, শেশয় ও তল্‌ময় নামে তিনজন লোক ছিল।

23. নেতারা ইষ্কোল উপত্যকাতে গিয়ে এক থোকা আংগুর সুদ্ধ একটা ডাল কেটে নিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন সেটা লাঠিতে ঝুলিয়ে বয়ে নিয়ে এসেছিলেন। এছাড়া তাঁরা কিছু ডালিম আর ডুমুরও নিয়ে এসেছিলেন।

24. বনি-ইসরাইলরা সেখানে সেই আংগুরের থোকাটা কেটেছিলেন বলে সেই জায়গার নাম হয়েছিল ইষ্কোল উপত্যকা।

25. দেশটার খোঁজ-খবর নিয়ে তাঁরা চল্লিশ দিন পরে ফিরে আসলেন।

26. সেই নেতারা পারণ মরুভূমির কাদেশে মূসা, হারুন এবং সমস্ত বনি-ইসরাইলদের কাছে ফিরে আসলেন। তাঁরা মূসা, হারুন এবং অন্যান্য লোকদের কাছে সব কথা জানালেন এবং সেই দেশের ফল দেখালেন।

27. তাঁরা মূসাকে বললেন, “আপনি আমাদের যে দেশে পাঠিয়েছিলেন আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। দেশটাতে সত্যিই দুধ, মধু আর কোন কিছুর অভাব নেই। এই হল সেখানকার ফল।

28. কিন্তু যারা সেখানে বাস করে তাদের গায়ে শক্তি বেশী এবং তাদের শহরগুলোও বেশ বড় বড় আর দেয়াল দিয়ে ঘেরা। অনাকের বংশের লোকদেরও আমরা সেখানে দেখেছি।

29. আমালেকীয়রা থাকে নেগেভে; হিট্টীয়, যিবূষীয় ও আমোরীয়রা থাকে পাহাড়ী এলাকায় আর কেনানীয়রা থাকে সমুদ্রের কাছে এবং জর্ডান নদীর কিনারা ধরে।”

30. তখন মূসার সামনে যে সব লোক ছিল কালুত তাদের গোলমাল থামিয়ে বললেন, “সেখানে গিয়ে দেশটা আমাদের দখল করে নেওয়া উচিত। আমরা তা নিশ্চয়ই করতে পারব।”

31. কিন্তু যাঁরা তাঁর সংগে গিয়েছিলেন তাঁরা বললেন, “ঐ লোকদের সংগে যুদ্ধ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়; আমাদের চেয়ে তাদের গায়ে শক্তি বেশী।”

32. তাঁরা যে দেশটার খোঁজ-খবর নিয়ে এসেছিলেন বনি-ইসরাইলদের কাছে সেই দেশ সম্বন্ধে একটা বাজে কথা রটিয়ে দিয়ে বললেন, “আমরা যে দেশের খোঁজ-খবর নিয়ে এসেছি সেই দেশটা তার বাসিন্দাদের গিলে খেয়ে ফেলে। যে সব লোক আমরা সেখানে দেখেছি তারা দেখতে খুব বড়।

33. আমরা সেখানে নেফিলীয়দের দেখেছি। অনাকের বংশের লোকেরা তো জাতে নেফিলীয়। তাদের দেখে আমরা নিজেদের মনে করলাম ঘাস-ফড়িং আর তারাও আমাদের তা-ই মনে করল।”

শুমারী 13