2. তিনি হারুনকে বললেন, “তোমার গুনাহের কোরবানীর জন্য তুমি একটা এঁড়ে বাছুর ও পোড়ানো-কোরবানীর জন্য একটা ভেড়া এনে মাবুদের সামনে উপস্থিত কর। তাদের গায়ে যেন কোন খুঁত না থাকে।
5. তারা মূসার হুকুম মত সমস্ত জিনিস মিলন-তাম্বুর সামনে নিয়ে আসল আর বনি-ইসরাইলরা সবাই গিয়ে মাবুদের সামনে দাঁড়াল।
6. মূসা তখন তাদের বললেন, “মাবুদের মহিমা যাতে তোমাদের সামনে প্রকাশ পায় সেইজন্যই তিনি তোমাদের এই সব করবার হুকুম দিয়েছেন।”
7. তারপর তিনি হারুনকে বললেন, “তুমি কোরবানগাহের কাছে গিয়ে তোমার গুনাহের কোরবানী ও পোড়ানো-কোরবানী দিয়ে তোমার নিজের ও সেই সংগে লোকদের গুনাহ্ ঢাকা দেবার ব্যবস্থা কর। এছাড়া লোকদের ঐ সব কোরবানী দিয়েও তুমি তাদের গুনাহ্ ঢাকা দেবার ব্যবস্থা কর; মাবুদ তা-ই হুকুম দিয়েছেন।”
8. এতে হারুন কোরবানগাহের কাছে গিয়ে তাঁর নিজের গুনাহের কোরবানীর বাছুরটা জবাই করলেন।
9. তাঁর ছেলেরা তার রক্ত নিয়ে তাঁর কাছে গেল। হারুন সেই রক্তে তাঁর আংগুল ডুবিয়ে কিছু রক্ত নিয়ে কোরবানগাহের শিংগুলোতে লাগিয়ে দিলেন আর বাকী রক্ত তিনি কোরবানগাহের গোড়ায় ঢেলে দিলেন।
19-20. কিন্তু সেই গরু ও ভেড়ার সমস্ত চর্বি, অর্থাৎ চর্বিভরা লেজ, পেটের ভিতরের চর্বি, কিড্নি দু’টি এবং কলিজার উপরের অংশ তাঁরা বুকের গোশ্তের উপরে রাখলেন, আর হারুন সেই চর্বিগুলো নিয়ে কোরবানগাহের উপরে পুড়িয়ে দিলেন।
21. মূসা তাঁকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন সেইমতই তিনি দোলন-কোরবানী হিসাবে বুকের গোশ্ত এবং ডানপাশের রানটা নিয়ে মাবুদের সামনে দোলালেন।
22. তারপর হারুন লোকদের দিকে হাত বাড়িয়ে তাদের দোয়া করলেন। তিনি গুনাহের কোরবানী, পোড়ানো-কোরবানী এবং যোগাযোগ-কোরবানী শেষ করে কোরবানগাহ্ থেকে নেমে আসলেন।
23. এর পর মূসা ও হারুন মিলন-তাম্বুর ভিতরে গেলেন। সেখান থেকে বের হয়ে এসে তাঁরা লোকদের দোয়া করলেন। তখন সমস্ত লোকের সামনে মাবুদের মহিমা দেখা দিল।
24. মাবুদের কাছ থেকে আগুন বের হয়ে এসে কোরবানগাহের উপরকার পোড়ানো-কোরবানী আর সমস্ত চর্বি পুড়িয়ে ফেলল। এই ব্যাপার দেখে লোকেরা চিৎকার করে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ল।