4. সেই সময় ভিন্ন ভিন্ন গ্রাম থেকে অনেক লোক ঈসার কাছে এসে ভিড় করল। তখন তিনি তাদের শিক্ষা দেবার জন্য এই গল্পটা বললেন:
5. “একজন চাষী বীজ বুনতে গেল। বীজ বুনবার সময় কতগুলো বীজ পথের পাশে পড়ল। লোকেরা সেগুলো পায়ে মাড়াল এবং পাখীরা এসে খেয়ে ফেলল।
6. কতগুলো বীজ পাথুরে জমিতে পড়ে গজিয়ে উঠল, কিন্তু রস না পেয়ে শুকিয়ে গেল।
7. আবার কতগুলো বীজ কাঁটাবনের মধ্যে পড়ল। পরে কাঁটাগাছ সেই চারাগুলোর সংগে বেড়ে উঠে সেগুলো চেপে রাখল।
8. আবার কতগুলো বীজ ভাল জমিতে পড়ল এবং বেড়ে উঠে একশো গুণ ফসল দিল।”এই কথা বলবার পরে ঈসা জোরে বললেন, “যার শুনবার কান আছে সে শুনুক।”
9. এর পরে তাঁর সাহাবীরা তাঁকে সেই গল্পের অর্থ জিজ্ঞাসা করলেন।
32-33. সেখানে পাহাড়ের ধারে খুব বড় এক পাল শূকর চরছিল। ভূতগুলো ঈসাকে অনুরোধ করল যেন তিনি সেই শূকরগুলোর ভিতরে ঢুকতে তাদের অনুমতি দেন। তিনি অনুমতি দিলে পর তারা লোকটির মধ্য থেকে বের হয়ে শূকরগুলোর ভিতরে ঢুকল। তাতে সেই শূকরের পাল সাগরের ঢালু পার দিয়ে জোরে দৌড়ে গিয়ে পানিতে ডুবে মরল।
34. যারা শূকর চরাচ্ছিল তারা এই ঘটনা দেখে দৌড়ে গিয়ে সেই গ্রামে ও তার আশেপাশের সব জায়গায় এই খবর দিল।
35. কি হয়েছে তা দেখবার জন্য তখন লোকেরা বের হয়ে আসল। ঈসার কাছে এসে তারা দেখল, যার মধ্য থেকে ভূতগুলো বের হয়ে গেছে সে কাপড়-চোপড় পরে সুস্থ মনে ঈসার পায়ের কাছে বসে আছে। এ দেখে তারা ভয় পেল।
36. যারা সেই ঘটনা দেখেছিল তারা ঐ লোকদের কাছে বলল কেমন করে লোকটা সুস্থ হয়েছে।
37. তখন গাদারীয়দের এলাকার সমস্ত লোক ঈসাকে তাদের কাছ থেকে চলে যেতে অনুরোধ করল, কারণ তারা ভীষণ ভয় পেয়েছিল।তখন ঈসা ফিরে যাবার জন্য নৌকায় উঠলেন।
38. যে লোকটির মধ্য থেকে ভূতগুলো বের হয়ে গিয়েছিল সেই লোকটি ঈসাকে অনুরোধ করল যেন সে তাঁর সংগে যেতে পারে। ঈসা কিন্তু তাকে এই কথা বলে বাড়ী পাঠিয়ে দিলেন,
39. “তুমি বাড়ী ফিরে যাও এবং আল্লাহ্ তোমার জন্য কত বড় কাজ করেছেন তা প্রচার কর।”সেই লোকটি তখন গ্রামে গেল এবং ঈসা তার জন্য কত বড় কাজ করেছেন তা সমস্ত জায়গায় বলে বেড়াতে লাগল।
40. ঈসা অন্য পারে ফিরে যাবার পর সেখানকার লোকেরা তাঁকে খুশী মনে গ্রহণ করল, কারণ তারা তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল।
41. পরে যায়ীর নামে মজলিস-খানার একজন নেতা এসে ঈসার পায়ের উপর পড়লেন।