13. “কোন গোলাম দু’জন কর্তার সেবা করতে পারে না, কারণ সে একজনকে ঘৃণা করবে ও অন্যজনকে ভালবাসবে, কিংবা সে একজনের প্রতি মনোযোগ দেবে ও অন্যজনকে তুচ্ছ করবে। আল্লাহ্ ও ধন-সম্পত্তি এই দু’য়েরই সেবা তোমরা একসংগে করতে পার না।”
14. এই সব কথা শুনে ফরীশীরা ঈসাকে ঠাট্টা করতে লাগলেন, কারণ তারা টাকা-পয়সা বেশী ভালবাসতেন।
15. তখন ঈসা তাঁদের বললেন, “আপনারা লোকদের সামনে নিজেদের ধার্মিক দেখিয়ে থাকেন, কিন্তু আল্লাহ্ আপনাদের মনের অবস্থা জানেন। মানুষ যা সম্মানিত মনে করে আল্লাহ্র চোখে তা ঘৃণার যোগ্য।
16. “ইয়াহিয়ার সময় পর্যন্ত তৌরাত শরীফ এবং নবীদের কিতাব চলত। তারপর থেকে আল্লাহ্র রাজ্যের সুসংবাদ তবলিগ করা হচ্ছে এবং সবাই আগ্রহী হয়ে জোরের সংগে সেই রাজ্যে ঢুকছে।
17. তবে তৌরাত শরীফের একটা বিন্দু বাদ পড়বার চেয়ে বরং আসমান ও জমীন শেষ হওয়া সহজ।
18. “যে কেউ নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়ে আর একজনকে বিয়ে করে সে জেনা করে। স্বামী যাকে ছেড়ে দিয়েছে সেই রকম স্ত্রীকে যে বিয়ে করে সেও জেনা করে।
19. “একজন ধনী লোক ছিল। সে বেগুনে কাপড় ও অন্যান্য দামী দামী কাপড়-চোপড় পরত। প্রত্যেক দিন খুব জাঁকজমকের সংগে সে আমোদ-প্রমোদ করত।
20. সেই ধনী লোকের দরজার কাছে লাসার নামে একজন ভিখারীকে প্রায়ই এনে রাখা হত। লাসারের সারা গায়ে ঘা ছিল।
21. সেই ধনী লোকের টেবিল থেকে যে খাবার পড়ত তা-ই খেয়ে সে পেট ভরাতে চাইত, আর কুকুরেরা তার ঘা চেটে দিত।
22. “একদিন সেই ভিখারীটি মারা গেল। তখন ফেরেশতারা এসে তাকে নবী ইব্রাহিমের কাছে নিয়ে গেলেন। তারপর একদিন সেই ধনী লোকটিও মারা গেল এবং তাকে দাফন করা হল।
23. কবরে খুব যন্ত্রণার মধ্যে থেকে সে উপরের দিকে তাকাল এবং দূর থেকে ইব্রাহিম ও তাঁর পাশে লাসারকে দেখতে পেল।
24. তখন সে চিৎকার করে বলল, ‘পিতা ইব্রাহিম, আমাকে দয়া করুন। লাসারকে পাঠিয়ে দিন যেন সে তার আংগুলের আগাটা পানিতে ডুবিয়ে আমার জিভ্ ঠাণ্ডা করে। এই আগুনের মধ্যে আমি বড়ই কষ্ট পাচ্ছি।’