লূক 1:41-42-63 Kitabul Mukkadas (MBCL)

5. হেরোদ যখন এহুদিয়া প্রদেশের বাদশাহ্‌ ছিলেন সেই সময়ে ইমাম অবিয়ের দলে জাকারিয়া নামে ইহুদীদের একজন ইমাম ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল এলিজাবেত। তিনিও ছিলেন ইমাম হারুনের একজন বংশধর।

6. তাঁরা দু’জনেই আল্লাহ্‌র চোখে ধার্মিক ছিলেন। মাবুদের সমস্ত হুকুম ও নিয়ম তাঁরা নিখুঁতভাবে পালন করতেন।

7. তাঁদের কোন ছেলেমেয়ে হয় নি কারণ এলিজাবেত বন্ধ্যা ছিলেন। এছাড়া তাঁদের বয়সও খুব বেশী হয়ে গিয়েছিল।

8. একবার নিজের দলের পালার সময় জাকারিয়া ইমাম হিসাবে আল্লাহ্‌র এবাদত-কাজ করছিলেন।

9. ইমামের কাজের চলতি নিয়ম অনুসারে গুলিবাঁট দ্বারা তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল, যেন তিনি বায়তুল-মোকাদ্দসের পবিত্র স্থানে গিয়ে ধূপ জ্বালাতে পারেন।

41-42. এলিজাবেত যখন মরিয়মের কথা শুনলেন তখন তাঁর গর্ভের শিশুটি নেচে উঠল। তিনি পাক-রূহে পূর্ণ হয়ে জোরে জোরে বললেন, “সমস্ত স্ত্রীলোকদের মধ্যে তুমি ধন্যা এবং তোমার যে সন্তান হবে সেই সন্তানও ধন্য।

43. আমার প্রভুর মা আমার কাছে এসেছেন, এ কেমন করে সম্ভব হল?

44. যখনই আমি তোমার কথা শুনলাম তখনই আমার গর্ভের শিশুটি আনন্দে নেচে উঠল।

45. তুমি ধন্যা, কারণ তুমি বিশ্বাস করেছ যে, মাবুদ তোমাকে যা বলেছেন তা পূর্ণ হবে।”

46. তখন মরিয়ম বললেন,“আমার হৃদয় মাবুদের প্রশংসা করছে;

47. আমার নাজাতদাতা আল্লাহ্‌কে নিয়েআমার দিল আনন্দে ভরে উঠছে,

48. কারণ তাঁর এই সামান্যা বাঁদীর দিকেতিনি মনোযোগ দিয়েছেন।এখন থেকে সব লোক আমাকে ধন্যা বলবে,

49. কারণ শক্তিমান আল্লাহ্‌ আমার জন্যকত না মহৎ কাজ করেছেন।তিনি পবিত্র।

50. যারা তাঁকে ভয় করেতাদের প্রতি তিনি মমতা করেন,বংশের পর বংশ ধরেই করেন।

51. তিনি হাত বাড়িয়ে মহাশক্তির কাজ করেছেন;যাদের মন অহংকারে ভরাতাদের তিনি চারদিকে দূর করে দিয়েছেন।

52. সিংহাসন থেকে বাদশাহ্‌দের তিনি নামিয়ে দিয়েছেন,কিন্তু সাধারণ লোকদের তুলে ধরেছেন।

53. যাদের অভাব আছে,ভাল ভাল জিনিস দিয়েতিনি তাদের অভাব পূরণ করেছেন,কিন্তু ধনীদের খালি হাতে বিদায় করেছেন।

54-55. তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছেযে ওয়াদা করেছিলেন,সেইমতই তিনি তাঁর গোলামইসরাইলকে সাহায্য করেছেন।ইব্রাহিম ও তাঁর বংশের লোকদের উপরেচিরকাল মমতা করবার কথা তিনি মনে রেখেছেন।”

56. প্রায় তিন মাস এলিজাবেতের কাছে থাকবার পর মরিয়ম নিজের বাড়ীতে ফিরে গেলেন।

57. সময় পূর্ণ হলে পর এলিজাবেতের একটি ছেলে হল।

58. তাঁর উপর মাবুদের প্রচুর মমতার কথা শুনে প্রতিবেশীরা ও আত্মীয়রা তাঁর সংগে আনন্দ করতে লাগল।

59. ইহুদীদের নিয়ম মত আট দিনের দিন তারা ছেলেটির খৎনা করাবার কাজে যোগ দিতে আসল। তারা ছেলেটির নাম তার পিতার নামের মত জাকারিয়া রাখতে চাইল,

60. কিন্তু তার মা বললেন, “না, এর নাম ইয়াহিয়া রাখা হবে।”

61. তারা এলিজাবেতকে বলল, “আপনার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে তো কারও ঐ নাম নেই।”

62. তারা ইশারা করে ছেলেটির পিতার কাছ থেকে জানতে চাইল তিনি কি নাম দিতে চান।

63. জাকারিয়া লিখবার জিনিস চেয়ে নিয়ে লিখলেন, “ওর নাম ইয়াহিয়া।”এতে তারা সবাই অবাক হল,

লূক 1