6. কি যে বলা উচিত তা পিতর বুঝলেন না, কারণ তাঁরা খুব ভয় পেয়েছিলেন।
7. এই সময় একটা মেঘ এসে তাঁদের ঢেকে ফেলল, আর সেই মেঘ থেকে এই কথা শোনা গেল, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, তোমরা এঁর কথা শোন।”
8. সাহাবীরা তখনই চারদিকে তাকালেন কিন্তু ঈসা ছাড়া আর কাউকে দেখতে পেলেন না।
9. পরে পাহাড় থেকে নেমে আসবার সময় ঈসা তাঁদের হুকুম দিলেন, “তোমরা যা দেখলে তা ইব্ন্তেআদম মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে না ওঠা পর্যন্ত কাউকে বোলো না।”
10. সাহাবীরা ঈসার হুকুম পালন করলেন, কিন্তু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে ওঠার অর্থ কি তা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে লাগলেন।
11. তাঁরা ঈসাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আলেমেরা কেন বলেন প্রথমে ইলিয়াস নবীর আসা দরকার?”
12. জবাবে ঈসা তাঁদের বললেন, “এই কথা সত্যি যে, প্রথমে ইলিয়াস এসে সব কিছু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন। তবে ইব্ন্তেআদমের বিষয়ে কেমন করেই বা পাক-কিতাবে লেখা আছে যে, তাঁকে খুব কষ্টভোগ করতে হবে এবং লোকে তাঁকে অগ্রাহ্য করবে?
13. কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, ইলিয়াসের বিষয়ে পাক-কিতাবে যা লেখা আছে সেইভাবে তিনি এসেছিলেন, আর লোকেরা তাঁর উপর যা ইচ্ছা তা-ই করেছে।”
14. ঈসা ও সেই তিনজন সাহাবী অন্য সাহাবীদের কাছে ফিরে এসে দেখলেন, তাঁদের চারপাশে অনেক লোক জমায়েত হয়েছে এবং কয়েকজন আলেম তাঁদের সংগে তর্ক জুড়ে দিয়েছেন।
15. লোকেরা ঈসাকে দেখেই খুব আশ্চর্য হয়ে গেল এবং দৌড়ে গিয়ে তাঁকে সালাম জানাল।
16. ঈসা আলেমদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনারা ওদের সংগে কি বিষয়ে তর্ক করছেন?”
17. ভিড়ের মধ্য থেকে একজন লোক জবাব দিল, “হুজুর, আমার ছেলেকে আপনার কাছে এনেছিলাম। তাকে বোবা ভূতে পেয়েছে।
18. সেই ভূত যখনই তাকে ধরে তখনই আছাড় দিয়ে মাটিতে ফেলে। তার মুখ থেকে ফেনা বের হয় আর সে দাঁতে দাঁত ঘষে এবং শক্ত হয়ে যায়। আমি আপনার সাহাবীদের সেই ভূতকে ছাড়িয়ে দিতে বললাম, কিন্তু তাঁরা পারলেন না।”
19. তখন ঈসা বললেন, “বেঈমান লোকেরা! আর কতদিন আমি তোমাদের সংগে থাকব? কতদিন তোমাদের সহ্য করব? ছেলেটিকে আমার কাছে আন।”
20. লোকেরা তখন ছেলেটিকে ঈসার কাছে আনল। তাঁকে দেখেই সেই ভূত ছেলেটিকে খুব জোরে মুচড়ে ধরল। ছেলেটি মুখ থেকে ফেনা বের করতে করতে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে লাগল।
21. ঈসা তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কতদিন হল তার এই রকম হয়েছে?”লোকটি বলল, “ছেলেবেলা থেকে।
22. এই ভূত তাকে মেরে ফেলবার জন্য প্রায়ই আগুনে আর পানিতে ফেলে দিয়েছে। তবে আপনি যদি আমাদের কোন উপকার করতে পারেন তবে দয়া করে তা করুন।”
23. ঈসা তাকে বললেন, “‘যদি করতে পারেন,’ এই কথার মানে কি? যে বিশ্বাস করে তার জন্য সব কিছুই সম্ভব।”
24. তখনই ছেলেটির বাবা চিৎকার করে বলল, “আমি বিশ্বাস করছি; আমার মধ্যে এখনও যে অবিশ্বাস আছে তা দূর করে দিন।”