22. এই ভূত তাকে মেরে ফেলবার জন্য প্রায়ই আগুনে আর পানিতে ফেলে দিয়েছে। তবে আপনি যদি আমাদের কোন উপকার করতে পারেন তবে দয়া করে তা করুন।”
23. ঈসা তাকে বললেন, “‘যদি করতে পারেন,’ এই কথার মানে কি? যে বিশ্বাস করে তার জন্য সব কিছুই সম্ভব।”
24. তখনই ছেলেটির বাবা চিৎকার করে বলল, “আমি বিশ্বাস করছি; আমার মধ্যে এখনও যে অবিশ্বাস আছে তা দূর করে দিন।”
25. অনেক লোক দৌড়ে আসছে দেখে ঈসা সেই ভূতকে ধমক দিয়ে বললেন, “ওহে বধির ও বোবা ভূত, আমি তোমাকে হুকুম দিচ্ছি, এর মধ্য থেকে বের হও; আর কখনও এর মধ্যে ঢুকো না।”
26. তখন সেই ভূত চিৎকার করে ছেলেটাকে জোরে মুচড়ে ধরল এবং তার মধ্য থেকে বের হয়ে গেল। তাতে ছেলেটি মরার মত পড়ে রইল দেখে অনেকে বলল, “ও মারা গেছে।”
27. ঈসা কিন্তু তার হাত ধরে তুললে পর সে উঠে দাঁড়াল।
28. এর পরে ঈসা ঘরের ভিতরে গেলেন। তখন সাহাবীরা গোপনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমরা তাকে ছাড়াতে পারলাম না কেন?”
29. ঈসা বললেন, “মুনাজাত ছাড়া আর কোন মতেই এই রকম ভূত ছাড়ানো যায় না।”
30. পরে তাঁরা সেই জায়গা ছেড়ে গালীল প্রদেশের মধ্য দিয়ে চলে গেলেন। তিনি চেয়েছিলেন যেন কেউ জানতে না পারে যে, তিনি কোথায় যাচ্ছেন,
31. কারণ তখন তিনি তাঁর সাহাবীদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন। তিনি তাঁদের বলছিলেন, “ইব্ন্তেআদমকে লোকদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে। তারা তাঁকে হত্যা করবে এবং তিন দিনের দিন আবার তিনি জীবিত হয়ে উঠবেন।”