3. পরে ঈসা যখন জৈতুন পাহাড়ে বসে ছিলেন তখন সাহাবীরা গোপনে তাঁর কাছে এসে বললেন, “আমাদের বলুন, কখন এই সব হবে এবং কি রকম চিহ্নের দ্বারা বুঝা যাবে আপনার আসবার সময় ও কেয়ামতের সময় হয়েছে?”
4. জবাবে ঈসা তাঁদের বললেন, “দেখো, কেউ যেন তোমাদের না ঠকায়,
5. কারণ অনেকেই আমার নাম নিয়ে এসে বলবে, ‘আমিই মসীহ্,’ এবং অনেক লোককে ঠকাবে।
6. তোমাদের কানে যুদ্ধের আওয়াজ আসবে আর যুদ্ধের খবরাখবরও তোমরা শুনতে পাবে। কিন্তু সাবধান! এতে ভয় পেয়ো না, কারণ এই সব হবেই; কিন্তু তখনও শেষ নয়।
7. এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে এবং এক রাজ্য অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। অনেক জায়গায় দুর্ভিক্ষ ও ভূমিকমপ হবে।
8. কিন্তু এই সব কেবল যন্ত্রণার শুরু।
9. “সেই সময়ে লোকে তোমাদের কষ্ট দেবার জন্য ধরিয়ে দেবে এবং তোমাদের খুন করবে। আমার জন্য সব লোকেরা তোমাদের ঘৃণা করবে।
10. সেই সময়ে অনেকেই পিছিয়ে যাবে এবং একে অন্যকে ধরিয়ে দেবে ও ঘৃণা করবে।
11. অনেক ভণ্ড নবী এসে অনেককে ঠকাবে।
12. দুষ্টতা বেড়ে যাবে বলে অনেকের মহব্বত খুব কমে যাবে।
13. কিন্তু যে শেষ পর্যন্ত স্থির থাকবে সে উদ্ধার পাবে।
14. সমস্ত জাতির কাছে সাক্ষ্য দেবার জন্য বেহেশতী রাজ্যের সুসংবাদ সারা দুনিয়াতে তবলিগ করা হবে এবং তার পরেই শেষ সময় উপস্থিত হবে।