2. পরে তিনি তাঁর অধীন ডাক্তারদের হুকুম দিলেন যেন তাঁরা তাঁর বাবার মৃতদেহটা খোশবু-মসলা দিয়ে রক্ষা করবার ব্যবস্থা করেন। তাঁরা তা-ই করলেন।
3. এতে তাঁদের চল্লিশ দিন কেটে গেল। এই কাজে চল্লিশ দিনই লাগত। মিসরীয়রা ইসরাইলের জন্য সত্তর দিন ধরে শোক-প্রকাশ করল।
4. এই শোক-প্রকাশের সময় পার হয়ে গেলে পর ইউসুফ ফেরাউনের বাড়ীর কর্মচারীদের বললেন, “যদি তোমরা আমার উপর সন্তুষ্ট থাক তবে ফেরাউনকে গিয়ে আমার এই কথাটা জানাও যে,
5. পিতা মারা যাবার সময় আমাকে এই বলে কসম খাইয়েছেন, আমি যেন কেনান দেশে তাঁর ঠিক করে রাখা কবরটিতে তাঁকে দাফন করি। তাঁকে এই অনুরোধ কর যেন তিনি সেই কাজের জন্য আমাকে যেতে দেন। তাঁকে বল কাজ শেষ করেই আমি আবার ফিরে আসব।”
6. এর জবাবে ফেরাউন বলে পাঠালেন, “তিনি তোমাকে যে কসম খাইয়েছেন সেইমতই তুমি গিয়ে তাঁকে দাফন কর।”
7. তখন ইউসুফ তাঁর বাবাকে দাফন করবার জন্য গেলেন। ফেরাউনের সব কর্মচারী, অর্থাৎ তাঁর দরবারের এবং মিসরের সমস্ত সম্মানিত লোক ইউসুফের সংগে গেলেন।
8. এছাড়া ইউসুফের নিজের এবং তাঁর বাবার পরিবারের সকলে ও তাঁর ভাইয়েরাও তাঁর সংগে গেল। গোশনে তারা কেবল রেখে গেল তাদের ছোট ছেলেমেয়েদের ও তাদের গরু-ভেড়ার পাল।
9. অনেক রথ ও ঘোড়সওয়ার নিয়ে তারা একটা বিরাট দল হয়ে ইউসুফের সংগে চলল।
16-17. এই ভেবে তারা ইউসুফকে বলে পাঠাল, “বাবা মারা যাওয়ার আগে তিনি আমাদের এই কথা তোমাকে বলতে বলে গেছেন যে, আমরা তোমার প্রতি যে অন্যায় ব্যবহার করেছি তুমি যেন সেই অন্যায় ব্যবহার ও গুনাহ্ মাফ করে দাও। তাই আমাদের অনুরোধ তুমি তোমার বাবার আল্লাহ্র গোলামদের অন্যায় ব্যবহার মাফ কর।” তাদের কথা শুনে ইউসুফ কাঁদলেন।
18. এর পর তাঁর ভাইয়েরা তাঁর সামনে এসে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে বলল, “আমরা তোমার গোলাম।”
19. কিন্তু ইউসুফ তাদের বললেন, “তোমরা ভয় কোরো না। আল্লাহ্র জায়গায় দাঁড়াবার আমি কে?
20. তোমরা আমার ক্ষতি করতে চেয়েছিলে, কিন্তু আল্লাহ্ তার ভিতর দিয়ে ভালোর পরিকল্পনা করেছিলেন যাতে অনেক লোকের প্রাণ রক্ষা পায়; আর আজ তা-ই হচ্ছে।
21. কাজেই তোমরা ভয় কোরো না। আমি তোমাদের ও তোমাদের ছেলেমেয়েদের খাবারের যোগান দেব।” এই সব আশার কথা বলে তিনি তাদের সান্ত্বনা দিলেন।
22. ইউসুফ ও তাঁর বাবার পরিবারের লোকেরা মিসরেই বাস করতে লাগলেন। ইউসুফ একশো দশ বছর বেঁচে ছিলেন।
23. তিনি আফরাহীমের তিন পুরুষ পর্যন্ত দেখে গিয়েছিলেন। এছাড়া মাখীরের ছেলেমেয়েদেরও জন্মের পর ইউসুফের কোলেই রাখা হয়েছিল। মাখীর ছিল মানশার ছেলে।