পয়দায়েশ 39:20-21-23 Kitabul Mukkadas (MBCL)

3. মাবুদ যে তাঁর সংগে সংগে আছেন এবং তাঁর হাতের সব কাজই সফল করে তুলছেন তা তাঁর মালিকের চোখ এড়ালো না।

4. তাতে ইউসুফ তাঁর সুনজরে পড়লেন এবং তিনি তাঁকে তাঁর ব্যক্তিগত সেবাকারী করে নিলেন। তাঁর ঘর-সংসার ও বিষয়-সম্পত্তির দেখাশোনার ভারও তিনি তাঁর উপর দিলেন।

5. ইউসুফকে এই সব ভার দেবার পর থেকে ইউসুফের দরুন মাবুদ সেই মিসরীয় মালিকের সব কিছুকে দোয়া করতে লাগলেন। পোটীফরের ঘর-বাড়ীর এবং ক্ষেত-খামারের সব কিছুকেই মাবুদ দোয়া করলেন।

6. এ দেখে পোটীফর তাঁর সব কিছুর ভার ইউসুফের উপর ছেড়ে দিলেন। ইউসুফের উপর সব ভার ছিল বলে পোটীফর একমাত্র নিজের খাওয়া ছাড়া আর কিছু নিয়ে চিন্তা করতেন না।ইউসুফের শরীরের গড়ন এবং চেহারা সুন্দর ছিল।

7. কিছু দিনের মধ্যে ইউসুফ তাঁর মালিকের স্ত্রীর নজরে পড়ে গেলেন। একদিন সে ইউসুফকে বলল, “আমার বিছানায় এস।”

8. কিন্তু ইউসুফ তাতে রাজী হলেন না। তিনি বললেন, “দেখুন, আমি এই বাড়ীতে আছি বলেই আমার মালিক কোন কিছুর জন্য চিন্তা করেন না। তাঁর সব কিছুর ভার তিনি আমার উপর ছেড়ে দিয়েছেন।

9. এই বাড়ীতে আমার উপরে আর কেউ নেই। আপনি তাঁর স্ত্রী, সেইজন্য একমাত্র আপনাকে ছাড়া আর সবাইকে তিনি আমার অধীন করেছেন। এই অবস্থায় আমি কি করে এত বড় একটা জঘন্য কাজ করে আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে গুনাহ্‌ করতে পারি?”

20-21. তখন পোটীফর ইউসুফকে জেলখানায় দিলেন। সেই জায়গায় বাদশাহ্‌র বন্দীদের আটক করে রাখা হত। কিন্তু জেলখানার মধ্যেও মাবুদ ইউসুফের সংগে সংগে ছিলেন। তিনি তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত রইলেন এবং এমন করলেন যাতে ইউসুফ প্রধান জেল-রক্ষকের সুনজরে পড়েন।

22. প্রধান জেল-রক্ষক জেলখানার সমস্ত কয়েদীদের ভার ইউসুফের উপরে দিলেন যেন সেখানকার সব কাজকর্ম ইউসুফের ইচ্ছামত হয়।

23. ইউসুফের হাতে যে সব কাজের ভার ছিল সেগুলো প্রধান জেল-রক্ষককে আর দেখাশোনা করতে হত না, কারণ মাবুদ ইউসুফের সংগে ছিলেন, আর এইজন্য ইউসুফ যাতে হাত দিতেন তা মাবুদ সফল করতেন।

পয়দায়েশ 39