2. ইয়াকুব এ-ও লক্ষ্য করলেন যে, তাঁর প্রতি লাবনের আগের সেই মনোভাব আর নেই।
3. তখন মাবুদ ইয়াকুবকে বললেন, “তুমি তোমার পূর্বপুরুষদের দেশে নিজের লোকদের কাছে ফিরে যাও। আমি তোমার সংগে সংগে আছি।”
4. তখন ইয়াকুব লোক পাঠিয়ে মাঠে যেখানে তাঁর পশুপাল ছিল সেখানে রাহেলা ও লেয়াকে ডেকে আনালেন।
5. তারপর তিনি তাঁদের বললেন, “আমি লক্ষ্য করেছি আমার প্রতি তোমাদের বাবার আগের সেই মনোভাব আর নেই, কিন্তু আমার বাবার আল্লাহ্ আমার সংগে সংগে আছেন।
6. তোমরা তো জান যে, আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়েই তোমাদের বাবার কাজ করেছি,
7. অথচ তিনি আমাকে ঠকিয়েছেন এবং দশ-দশবার আমার বেতন বদল করেছেন। যাহোক, আল্লাহ্ তাঁকে আমার কোন ক্ষতি করতে দেন নি।
8. যখন তোমাদের বাবা বলেছেন, ‘তোমার বেতন হবে এমন সব পশু যাদের গায়ে ছোট ছোট ছাপ আছে,’ তখন পালের সব পশুগুলোই সেই রকম বাচ্চা দিয়েছে। আবার যখন তিনি বলেছেন, ‘তোমার বেতন হবে ডোরাকাটা পশু,’ তখন পালের সব পশুগুলোই ডোরাকাটা বাচ্চা দিয়েছে।
9. আল্লাহ্ এইভাবে তোমাদের বাবার পালের পশু নিয়ে আমাকে দিয়েছেন।
17-18. এর পর ইয়াকুব তাঁর ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীদের উটের পিঠে তুলে দিয়ে কেনান দেশে তাঁর পিতা ইসহাকের কাছে রওনা হলেন। যে সব পশুপাল এবং অন্যান্য ধন-সম্পত্তি তিনি পদ্দন-ইরামে লাভ করেছিলেন সেগুলোও তিনি সংগে নিলেন।
19. এই সময় লাবন তাঁর ভেড়াগুলোর লোম কাটবার জন্য গিয়েছিলেন, আর এই সুযোগে রাহেলা তাঁর পিতার পারিবারিক দেবমূর্তিগুলো চুরি করে নিলেন।
20. ইয়াকুব তাঁর যাওয়ার কথা সিরীয় লাবনকে না জানিয়ে তাঁর উপর একটা চালাকি খাটালেন।
21. এইভাবে ইয়াকুব তাঁর নিজের সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে গেলেন। তিনি ফোরাত নদী পার হয়ে গিলিয়দ এলাকার পাহাড়ী অঞ্চলের দিকে যেতে লাগলেন।