5. এর জবাবে হিট্টীয়রা বলল,
6. “দেখুন, আপনি আমাদের কথা শুনুন। আপনি এখানে আমাদের মধ্যে আল্লাহ্র নিযুক্ত একজন নেতা হয়ে আছেন। আমাদের সবচেয়ে ভাল কবরটাতেই আপনি আপনার মৃতা স্ত্রীর দাফন করুন। আপনার স্ত্রীকে দাফন করবার জন্য আমাদের মধ্যে কেউই তার নিজের কবর ছেড়ে দিতে আপত্তি করবে না।”
7. তখন ইব্রাহিম উঠে দাঁড়ালেন এবং সেই এলাকার হিট্টীয় বাসিন্দাদের সামনে মাটিতে উবুড় হয়ে সম্মান দেখালেন।
8-9. তারপর তিনি বললেন, “আমার স্ত্রীর এখানে দাফন করবার ব্যাপারে যদি আপনাদের কোন আপত্তি না থাকে তবে দয়া করে আপনারা আমার একটা কথা শুনুন। আপনারা আমার হয়ে সোহরের ছেলে ইফ্রোণকে এই অনুরোধ করুন যেন তাঁর জমির শেষ সীমানায় মক্পেলাতে যে গুহাটা আছে তা তিনি আমাকে ছেড়ে দেন। আপনাদের সামনে তিনি যেন পুরো দামেই কবরস্থান করবার জন্য ওটা আমার কাছে বিক্রি করেন।”
12. ইব্রাহিম আবার মাটিতে উবুড় হয়ে তাদের সম্মান দেখালেন।
13. তারপর সবাই যাতে শুনতে পায় সেইভাবে তিনি ইফ্রোণকে বললেন, “আপত্তি না থাকলে আপনি দয়া করে আমার কথা শুনুন। জমিটা আমি দাম দিয়ে নিতে চাই। দয়া করে আপনি জমির দামটা গ্রহণ করুন যাতে আমি ওখানে আমার মৃতা স্ত্রীকে দাফন করতে পারি।”
14. জবাবে ইফ্রোণ ইব্রাহিমকে বললেন,
15. “আপনি আমার কথা শুনুন। ঐ জমিটার দাম হল চার কেজি আটশো গ্রাম রূপা, কিন্তু আমার বা আপনার কাছে ওটা তেমন কিছু নয়। আপনি বরং গিয়ে ওখানেই আপনার মৃতা স্ত্রীকে দাফন করুন।”
16. ইফ্রোণের কথা শুনে ইব্রাহিম ব্যবসায়ীদের মাপ অনুসারে চার কেজি আটশো গ্রাম রূপা তাঁকে মেপে দিলেন। ইফ্রোণ হিট্টীয়দের সামনে এই চার কেজি আটশো গ্রাম রূপার কথাই বলেছিলেন।
19. এর পরে ইব্রাহিম কেনান দেশের মম্রি শহরের কাছে, অর্থাৎ হেবরনের কাছে মক্পেলার গুহাতে তাঁর স্ত্রী সারাকে দাফন করলেন।
20. এমনি করে মক্পেলার ঐ গুহাসুদ্ধ জমিটা কবরস্থান হিসাবে হিট্টীয়দের হাত থেকে ইব্রাহিমের হাতে আসল।