1-2. এদিকে শৌল প্রভুর উম্মতদের হত্যা করবেন বলে ভয় দেখাচ্ছিলেন। দামেস্ক শহরের মজলিস-খানাগুলোতে দেবার জন্য তিনি মহা-ইমামের কাছে গিয়ে চিঠি চাইলেন। যত লোক ঈসার পথে চলে, তারা পুরুষ হোক বা স্ত্রীলোক হোক, তাদের পেলে যেন তাদের বেঁধে জেরুজালেমে আনতে পারেন সেই ক্ষমতার জন্যই তিনি সেই চিঠি চেয়েছিলেন।
10. দামেস্ক শহরে অননিয় নামে একজন উম্মত ছিলেন। প্রভু তাঁকে দর্শন দিয়ে বললেন, “অননিয়।”জবাবে তিনি বললেন, “প্রভু, এই যে আমি।”
11-12. প্রভু তাঁকে বললেন, “সোজা নামে যে রাস্তাটা আছে তুমি সেই রাস্তায় যাও। সেখানে এহুদার বাড়ীতে শৌল বলে তার্ষ শহরের একজন লোকের তালাশ কর। সে মুনাজাত করছে এবং দর্শনে দেখেছে যে, অননিয় নামে একজন লোক এসে তার গায়ে হাত রেখেছে যেন সে আবার দেখতে পায়।”
13. অননিয় বললেন, “প্রভু, আমি অনেকের মুখে এই লোকের বিষয় শুনেছি যে, জেরুজালেমে তোমার বান্দাদের উপর সে কত জুলুম করেছে।
14. এছাড়া যারা তোমার নামে মুনাজাত করে তাদের ধরবার জন্য প্রধান ইমামদের কাছ থেকে অধিকার নিয়ে সে এখানে এসেছে।”
15. কিন্তু প্রভু অননিয়কে বললেন, “তুমি যাও, কারণ অ-ইহুদীদের ও তাদের বাদশাহ্দের এবং বনি-ইসরাইলদের কাছে আমার সম্বন্ধে তবলিগ করবার জন্য আমি এই লোককেই বেছে নিয়েছি।
16. আমার জন্য কত কষ্ট যে তাকে পেতে হবে তা আমি তাকে দেখাব।”
17. তখন অননিয় গিয়ে সেই বাড়ীর মধ্যে ঢুকলেন আর শৌলের গায়ে হাত দিয়ে বললেন, “ভাই শৌল, এখানে আসবার পথে যিনি তোমাকে দেখা দিয়েছিলেন তিনি হযরত ঈসা। তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন যেন তুমি তোমার দেখবার শক্তি ফিরে পাও এবং পাক-রূহে পূর্ণ হও।”
18-19. তখনই শৌলের চোখ থেকে আঁশের মত কিছু একটা পড়ে গেল এবং তিনি আবার দেখতে পেলেন। এর পরে তিনি উঠে পানিতে তরিকাবন্দী নিলেন এবং খাওয়া-দাওয়া করে শক্তি ফিরে পেলেন।শৌল দামেস্কের উম্মতদের সংগে কয়েক দিন রইলেন।