1. সেই সময়ে উম্মতদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছিল। তখন উম্মতদের মধ্যে যে ইহুদীরা গ্রীক ভাষায় কথা বলত তারা হিব্রু ভাষায় কথা বলা ইহুদীদের এই বলে দোষ দিতে লাগল যে, রোজই খাবার দেবার সময়ে তাদের বিধবা স্ত্রীলোকেরা কিছুই পায় না।
2. এতে সেই বারোজন সাহাবী সব উম্মতদের এক জায়গায় ডেকে বললেন, “আল্লাহ্র কালাম তবলিগ করা ছেড়ে খাবার দেওয়ার ব্যাপারে ব্যস্ত থাকা আমাদের পক্ষে ঠিক নয়।
3-4. ভাইয়েরা, তোমাদের মধ্য থেকে এমন সাতজন লোককে তোমরা বেছে নাও যাঁদের সবাই সম্মান করে এবং যাঁরা পাক-রূহে ও জ্ঞানে পূর্ণ। আমরা তাঁদের উপরেই এই সেবা-কাজের ভার দিয়ে নিজেরা মুনাজাত ও আল্লাহ্র কালাম তবলিগে মন দেব।”
10. তারা স্তিফানের সংগে তর্ক জুড়ে দিল, কিন্তু স্তিফান পাক-রূহের মধ্য দিয়ে খুব জ্ঞানের সংগে কথা বলছিলেন। সেইজন্য তারা তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারছিল না।
11. তখন সেই ইহুদীরা গোপনে কয়েকজন লোককে এই কথা বলতে উস্কিয়ে দিল, “আমরা স্তিফানকে নবী মূসা ও আল্লাহ্র বিরুদ্ধে কুফরী করতে শুনেছি।”
12. এইভাবে তারা লোকদের, বৃদ্ধ নেতাদের ও আলেমদের ক্ষেপিয়ে তুলল আর স্তিফানকে ধরে মহাসভার সামনে আনল।
13. তারা কয়েকজন মিথ্যা সাক্ষী দাঁড় করাল। এই মিথ্যা সাক্ষীরা বলল, “এই লোকটা সব সময় বায়তুল-মোকাদ্দসের বিরুদ্ধে ও মূসার শরীয়তের বিরুদ্ধে কথা বলে।
14. আমরা তাকে এই কথা বলতে শুনেছি যে, সেই নাসরত গ্রামের ঈসা এই এবাদত-খানা ভেংগে ফেলবে এবং মূসা যে চলতি নিয়মগুলো আমাদের দিয়ে গিয়েছেন সেগুলোও বদলে ফেলবে।”
15. যাঁরা সেই মহাসভায় বসে ছিলেন তাঁরা সবাই তখন স্তিফানের দিকে তাকিয়ে দেখলেন, তাঁর মুখ একজন ফেরেশতার মুখের মত হয়ে গেছে।