24. কিন্তু আল্লাহ্ মৃত্যুর যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করে তাঁকে জীবিত করে তুলেছেন, কারণ তাঁকে ধরে রাখবার সাধ্য মৃত্যুর ছিল না।
25. নবী দাউদ তাঁর বিষয়ে বলেছেন,‘আমার চোখ সব সময় মাবুদের দিকে আছে;তিনি আমার ডান পাশে আছেন বলে আমি স্থির থাকব।
26. এইজন্য আমার মন খুশীতে ভরা,আমার জিভ্ আনন্দের কথা বলে,আমার শরীরও আশা নিয়ে বাঁচবে;
27. কারণ তুমি আমাকে কবরে ফেলে রাখবে না,তোমার ভক্তের শরীরকে তুমি নষ্ট হতে দেবে না।
28. জীবনের পথ তুমি আমাকে জানিয়েছ;তোমার কাছে থাকায় আছে পরিপূর্ণ আনন্দ।’
29. “ভাইয়েরা, এই কথা আমি নিশ্চয় করে বলতে পারি যে, রাজবংশের পিতা দাউদ মারা গেছেন, তাঁকে দাফন করা হয়েছে আর তাঁর কবর আজও এখানে রয়েছে।
30. তিনি একজন নবী ছিলেন এবং তিনি জানতেন আল্লাহ্ কসম খেয়ে এই ওয়াদা করেছেন যে, তাঁর সিংহাসনে তাঁরই একজন বংশধরকে তিনি বসাবেন।
31. পরে কি হবে তা দাউদ দেখতে পেয়েছিলেন বলে মৃত্যু থেকে মসীহের আবার জীবিত হয়ে ওঠা সম্বন্ধে বলেছিলেন যে, কবরে মসীহ্কে ফেলে রাখা হয় নি এবং তাঁর শরীরও নষ্ট হয় নি।
32. আল্লাহ্ সেই ঈসাকেই জীবিত করে তুলেছেন, আর আমরা সবাই তার সাক্ষী।
33. আল্লাহ্র ডান দিকে বসবার গৌরব তাঁকেই দান করা হয়েছে এবং ওয়াদা করা পাক-রূহ্কে তিনিই পিতার কাছ থেকে পেয়েছেন; আর এখন আপনারা যা দেখছেন ও শুনতে পাচ্ছেন তা ঈসাই দিয়েছেন।
34-35. দাউদ নিজে বেহেশতে যান নি, কিন্তু তিনি বলেছেন,‘মাবুদ আমার প্রভুকে বললেন,যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদের তোমার পায়ের তলায় রাখিততক্ষণ তুমি আমার ডান দিকে বস।’
36. “এইজন্য সমস্ত ইসরাইল জাতি এই কথা নিশ্চিত ভাবে জানুন যে, যাঁকে আপনারা ক্রুশের উপরে হত্যা করেছিলেন আল্লাহ্ সেই ঈসাকেই প্রভু এবং মসীহ্- এই দুই পদেই নিযুক্ত করেছেন।”
37. এই কথা শুনে লোকেরা মনে আঘাত পেল। তারা পিতর ও অন্য সাহাবীদের জিজ্ঞাসা করল, “ভাইয়েরা, আমরা কি করব?”
38. জবাবে পিতর বললেন, “আপনারা প্রত্যেকে গুনাহের মাফ পাবার জন্য তওবা করুন এবং ঈসা মসীহের নামে তরিকাবন্দী গ্রহণ করুন। আপনারা দান হিসাবে পাক-রূহ্কে পাবেন।