12. তাঁর ব্যবহার করা গামছা ও গায়ের কাপড় রোগীদের কাছে নিয়ে গেলে পর তাদের অসুখ ভাল হয়ে যেত এবং ভূতেরাও ছেড়ে যেত।
13. কয়েকজন ইহুদী ভূত ছাড়িয়ে বেড়াত। হযরত ঈসার নাম ব্যবহার করে তারা ভূতে পাওয়া লোকদের সুস্থ করবার চেষ্টা করতে লাগল। তারা বলত, “পৌল যাঁর বিষয় তবলিগ করেন সেই ঈসার নামে আমি তোমাদের বের হয়ে যাবার হুকুম দিচ্ছি।”
14. তাদের মধ্যে স্কিবা নামে একজন ইহুদী প্রধান ইমামের সাতটি ছেলে ঐ রকম করত।
15. একবার যখন তারা ঐ রকম করছিল তখন ভূত তাদের বলল, “আমি ঈসাকেও চিনি, পৌলকেও চিনি, কিন্তু তোমরা কারা?”
16. যে লোকটিকে ভূতে পেয়েছিল সে তখন সেই সাতজনের উপর লাফিয়ে পড়ল আর তাদের সবাইকে এমনভাবে আঘাত করল যে, তারা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে উলংগ অবস্থায় সেই বাড়ী থেকে পালিয়ে গেল।
17. এই খবর যখন ইফিষে বাসকারী ইহুদী ও গ্রীকেরা জানতে পারল তখন তারা সবাই খুব ভয় পেল, আর হযরত ঈসার নামের খুব প্রশংসা হল।
18. যারা হযরত ঈসার উপর ঈমান এনেছিল এমন অনেক লোক তখন এসে খোলাখুলিভাবেই তাদের খারাপ কাজের বিষয় স্বীকার করল।
19. যারা জাদুর খেলা দেখাত তাদের মধ্যে অনেকে তাদের বই-পুঁথি একসংগে জড়ো করে সবার সামনেই সেগুলো পুড়িয়ে দিল। বইগুলোর দাম হিসাব করলে দেখা গেল পঞ্চাশ হাজার দীনার।
20. মাবুদের কালাম এইভাবে ছড়িয়ে পড়ল এবং তার শক্তি লোকদের মনে আরও বেশী করে কাজ করতে লাগল।
21. এই সব ঘটবার পর পৌল ঠিক করলেন তিনি ম্যাসিডোনিয়া ও আখায়া হয়ে জেরুজালেমে যাবেন। তিনি বললেন, “জেরুজালেমে যাবার পরে আমাকে রোম শহরেও যেতে হবে।”
22. পরে তিনি তীমথিয় ও ইরাস- নামে তাঁর দু’জন সাহায্যকারীকে ম্যাসিডোনিয়াতে পাঠিয়ে দিলেন, আর এদিকে তিনি আরও কিছু দিন এশিয়া প্রদেশে রইলেন।
23. সেই সময়ে ঈসার পথের বিষয় নিয়ে খুব গোলমাল শুরু হল।
24. দীমীত্রিয় নামে একজন স্বর্ণকার দেবী আর্তেমিসের মন্দিরের মত ছোট ছোট রূপার মন্দির তৈরী করত। এতে মিস্ত্রিদের খুব লাভ হত।
25. দীমীত্রিয় সেই মিস্ত্রিদের ও তাদের মত অন্যান্য কারিগরদের এক জায়গায় ডেকে বলল, “ভাইয়েরা, তোমরা তো জান যে, এই ব্যবসা দিয়ে আমাদের আয় বেশ ভালই হয়।
26. কিন্তু তোমরা দেখতে ও শুনতে পাচ্ছ যে, পৌল নামে ঐ লোকটা আমাদের এই ইফিষে এবং বলতে গেলে প্রায় সমস্ত এশিয়া প্রদেশের অনেক লোকদের ঈমান জন্মিয়ে তাদের ভুল পথে নিয়ে গেছে। সে বলে যে, হাতে তৈরী দেব-দেবী কিছুই নয়।
27. এতে কেবল যে আমাদের ব্যবসার সুনাম যাবে তা নয়, কিন্তু মহান দেবী আর্তেমিসের মন্দিরও মিথ্যা হয়ে যাবে। আর এশিয়া প্রদেশের সব লোকেরা, এমন কি, দুনিয়ার সবাই যে দেবীর উপাসনা করে তিনি নিজেও মহান থাকবেন না।”
28. এই কথা শুনে সেই লোকেরা রেগে আগুন হয়ে গেল এবং চিৎকার করে বলতে লাগল, “ইফিষীয়দের আর্তেমিস দেবীই মহান।”