প্রকাশিত কালাম 16:7-21 Kitabul Mukkadas (MBCL)

7. আমি কোরবানগাহ্‌ থেকে একজনকে এই কথা বলতে শুনলাম:“সর্বশক্তিমান মাবুদ আল্লাহ্‌,তোমার সব বিচার সত্য ও ন্যায়ে পূর্ণ।”

8. চতুর্থ ফেরেশতা সূর্যের উপরে তাঁর পেয়ালাটা উবুড় করলেন। তাতে লোকদের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবার জন্য সূর্যকে ক্ষমতা দেওয়া হল।

9. তখন ভীষণ তাপে লোকদের গা পুড়ে গেল, আর এই সমস্ত গজবের উপর যাঁর ক্ষমতা আছে তারা সেই আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে কুফরী করতে লাগল। কিন্তু তবুও তারা মন ফিরাল না এবং আল্লাহ্‌র প্রশংসা করল না।

12. তারপর ষষ্ঠ ফেরেশতা মহানদী ফোরাতের উপরে তাঁর পেয়ালাটা উবুড় করলেন। তাতে পূর্ব দেশের বাদশাহ্‌দের যাবার পথ তৈরী হবার জন্য সেই নদীর পানি শুকিয়ে গেল।

13. তখন আমি ব্যাঙের মত তিনটা ভূত দেখতে পেলাম। সেগুলো সেই দানব, সেই জন্তু এবং সেই ভণ্ড নবীর মুখ থেকে বের হয়ে আসছিল।

14. সেই ভূতগুলো কেরামতী কাজ করছিল। সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌র সেই মহান দিনে যুদ্ধ করবার জন্য তারা সারা দুনিয়ার বাদশাহ্‌দের একসংগে জমায়েত করল।

15. ঈসা বলছেন, “দেখ, আমি চোরের মত আসব। ধন্য সেই লোক, যে জেগে থাকে এবং নিজের পোশাক পরে থাকে, যেন তাকে উলংগ হয়ে ঘুরতে না হয় আর লোকে তার লজ্জা দেখতে না পায়।”

16. হিব্রু ভাষায় যে জায়গার নাম হরমাগিদোন, ভূতেরা সেই বাদশাহ্‌দের সেখানে জড়ো করল।

17. পরে সপ্তম ফেরেশতা তাঁর পেয়ালাটা বাতাসে উবুড় করলেন। তখন এবাদত-খানার সিংহাসন থেকে জোরে এই কথাগুলো বলা হল, “যা হবার তা হয়ে গেছে।”

18. তখন বিদ্যুৎ চম্‌কাতে লাগল, ভয়ংকর আওয়াজ হতে ও বাজ পড়তে লাগল এবং এমন ভীষণ ভূমিকমপ হল যা দুনিয়াতে মানুষ সৃষ্টির পর থেকে আর কখনও দেখা যায় নি। সেই ভূমিকমপ খুবই সাংঘাতিক ছিল।

19. সেই নাম-করা শহরটা তিন ভাগে ভাগ হয়ে গেল এবং বিভিন্ন জাতির শহরগুলো ভেংগে পড়ে গেল। পরে সেই নাম-করা ব্যাবিলনের কথা আল্লাহ্‌র মনে পড়ল, আর তিনি তাঁর গজবের ভয়ংকর মদে পেয়ালা পূর্ণ করে ব্যাবিলনকে খেতে দিলেন।

20. তখন প্রত্যেকটা দ্বীপ পালিয়ে গেল এবং পাহাড়গুলো আর দেখা গেল না।

21. আসমান থেকে মানুষের উপর বড় বড় পাথরের মত শিল পড়তে লাগল। তার প্রত্যেকটার ওজন ছিল ছত্রিশ কেজি। এতে লোকে শিলের আঘাতের জন্য আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে কুফরী করতে লাগল, কারণ সেই শিলের আঘাত ছিল ভয়ংকর।

প্রকাশিত কালাম 16