নহিমিয়া 4:16-17-23 Kitabul Mukkadas (MBCL)

2. তার সংগের লোকদের সামনে ও সামেরিয়ার সৈন্যদলের সামনে সে বলল, “এই দুর্বল ইহুদীরা করছে কি? তারা কি নিজেরাই এই কাজ করবে? আল্লাহ্‌র সাহায্য পাবার জন্য তারা কি পশু-কোরবানী দেবে? এক দিনেই কি দেয়াল গাঁথা শেষ করবে? টুকরা টুকরা হয়ে পড়ে থাকা পাথরের ঢিবি থেকে কি তারা পাথরগুলোকে শক্ত করে তুলতে পারবে? ওগুলো তো পুড়ে গেছে।”

3. অম্মোনীয় টোবিয় তখন তার পাশে ছিল; সে বলল, “ওরা যা গাঁথছে তার উপরে যদি একটা শিয়াল ওঠে তবে তাদের ঐ পাথরের দেয়াল ভেংগে পড়বে।”

4. তখন নহিমিয়া মুনাজাত করলেন, “হে আমাদের আল্লাহ্‌, তুমি শোন কিভাবে আমাদের তুচ্ছ করা হচ্ছে। তাদের করা অপমান তুমি তাদেরই মাথার উপরে ফেল। তুমি এমন কর যাতে তারা বন্দী হয়ে লুটের মাল হিসাবে অন্য দেশে থাকে।

5. তাদের অন্যায় তুমি মাফ কোরো না কিংবা তোমার চোখের সামনে থেকে তাদের গুনাহ্‌ তুমি মুছে ফেলো না, কারণ যারা দেয়াল গাঁথছে তাদের সামনেই তারা তোমাকে কুফরী করেছে।”

6. দেয়ালটা যত উঁচু হবে তার অর্ধেকটা পর্যন্ত এইভাবে আমরা গাঁথলাম, কারণ লোকেরা তাদের সমস্ত মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করছিল।

7. কিন্তু সন্‌বল্লট, টোবিয়, আরবীয়রা, অম্মোনীয়রা ও অস্‌দোদের লোকেরা যখন শুনল যে, জেরুজালেমের দেয়াল মেরামতের কাজ এগিয়ে গেছে এবং ফাঁকগুলো বন্ধ করা হচ্ছে তখন তারা খুব রেগে গেল।

8. তারা সবাই মিলে এই ষড়যন্ত্র করল যে, তারা গিয়ে জেরুজালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং গোলমাল শুরু করে দেবে।

9. কিন্তু আমরা আমাদের আল্লাহ্‌র কাছে মুনাজাত করলাম এবং তাদের ভয়ে দিনরাত পাহারা দেবার জন্য ব্যবস্থা করলাম।

16-17. সেই দিন থেকে আমার অর্ধেক লোক কাজ করতে থাকল আর বাকী অর্ধেক বর্শা, ঢাল, ধনুক ও বর্ম নিয়ে প্রস্তুত হয়ে রইল। এহুদার যে সমস্ত লোক দেয়াল গাঁথছিল তাদের পিছনে থাকতেন তাদের নেতারা। যারা মাল-মসলা বইত তারা এক হাতে কাজ করত আর অন্য হাতে অস্ত্র ধরত।

18. যারা গাঁথত তারা প্রত্যেকে কোমরে তলোয়ার বেঁধে নিয়ে কাজ করত, আর যে শিংগা বাজাত সে আমার কাছে থাকত।

19. পরে আমি গণ্যমান্য লোকদের, উঁচু পদের কর্মচারীদের ও বাকী লোকদের বললাম, “কাজের এলাকাটা বড় এবং তা অনেকখানি জায়গা জুড়ে রয়েছে; সেইজন্য আমরা দেয়াল বরাবর একজনের কাছ থেকে অন্যজন আলাদা হয়ে দূরে দূরে আছি।

20. আপনারা যেখানে শিংগার শব্দ শুনবেন সেখানে আমাদের কাছে জমায়েত হবেন। আমাদের আল্লাহ্‌ আমাদের হয়ে যুদ্ধ করবেন।”

21. ভোর থেকে শুরু করে অন্ধকার না হওয়া পর্যন্ত অর্ধেক লোক বর্শা ধরে থাকত আর আমরা এইভাবেই কাজ করতাম।

22. সেই সময় আমি লোকদের আরও বললাম, “প্রত্যেকে তার চাকরকে নিয়ে রাতের বেলায় যেন জেরুজালেমে থাকে যাতে রাতে পাহারা দিতে পারে এবং দিনের বেলায় কাজ করতে পারে।”

23. আমি কিংবা আমার ভাইয়েরা বা আমার চাকরেরা বা আমার দেহরক্ষীরা কেউই আমরা কাপড়-চোপড় খুলতাম না; এমন কি, পানির কাছে গেলেও আমরা প্রত্যেকে নিজের অস্ত্রশস্ত্র সংগে নিতাম।

নহিমিয়া 4