25. আজ থেকে আমি দুনিয়ার সমস্ত জাতির মধ্যে তোমাদের সম্বন্ধে একটা ভয়ের ভাব ও কাঁপুনি ধরাতে শুরু করব। তারা তোমাদের কথা শুনলে কাঁপতে থাকবে এবং তোমাদের দরুন তাদের মনে ভীষণ দুশ্চিন্তা জাগবে।’
26. “এর পর আমি শান্তি বজায় রাখবার উদ্দেশ্যে কদেমোৎ মরুভূমি থেকে হিষ্বোনের বাদশাহ্ সীহোনের কাছে বলে পাঠালাম,
27. ‘আপনার দেশের মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে দিন। আমরা ডানে-বাঁয়ে না গিয়ে সদর রাস্তা ধরেই চলে যাব।
28-29. আপনি টাকা নিয়ে আমাদের খাবার ও পানি দিন। আমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যে দেশ আমাদের দিতে যাচ্ছেন জর্ডান নদী পার হয়ে সেখানে না পৌঁছানো পর্যন্ত আপনি কেবল আমাদের পায়ে হেঁটে আপনার দেশটা পার হয়ে যেতে দিন। সেয়ীরের বাসিন্দা ইসের বংশধরেরা এবং আর্ শহরের বাসিন্দা মোয়াবীয়রাও আমাদের পার হয়ে যেতে দিয়েছে।’
30. কিন্তু হিষ্বোনের বাদশাহ্ সীহোন তাতে রাজী হলেন না। তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তাঁর মন কঠিন করেছিলেন ও অন্তর একগুঁয়েমিতে ভরে দিয়েছিলেন যাতে তিনি তোমাদের হাতে পড়েন, আর এখন তা-ই ঘটেছে।
31. “পরে মাবুদ আমাকে বললেন, ‘দেখ, সীহোন ও তার রাজ্য আমি তোমার হাতে তুলে দিতে শুরু করেছি। তুমি এখন গিয়ে তার দেশটা জয় করবার কাজে হাত দাও এবং সেখানে বাস করতে শুরু কর।’
32-33. “এর পর যখন সীহোন তাঁর সৈন্য-সামন্ত নিয়ে বের হয়ে যহসে আমাদের সংগে যুদ্ধ করতে আসলেন তখন আমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তাঁকে আমাদের হাতে এনে দিলেন। আমরা তাঁকে, তাঁর সব ছেলেদের এবং তাঁর সৈন্যদলকে ধ্বংস করলাম।
34. সেই সময়ে আমরা তাঁর সমস্ত গ্রাম ও শহর দখল করে নিলাম এবং তাদের পুরুষ, স্ত্রীলোক ও ছেলেমেয়েদের একেবারে ধ্বংস করে ফেললাম; তাদের কাউকেই আমরা বাঁচিয়ে রাখি নি।