2. তারপর মাবুদ আমাকে বললেন,
3. ‘তোমরা অনেক দিন ধরে এই পাহাড়ী এলাকায় ঘুরছ; এইবার উত্তর দিকে ফের।’
4. তারপর তিনি আমাকে তোমাদের বলতে বললেন, ‘তোমাদের ভাই সেয়ীরের বাসিন্দা ইসের বংশধরদের রাজ্যের মধ্য দিয়ে এখন তোমাদের যেতে হবে। তোমাদের দেখে তারা ভয় পাবে কিন্তু তোমরা খুব সাবধান থেকো।
5. তোমরা ইসের বংশধরদের যুদ্ধের উসকানি দেবে না, কারণ আমি তাদের দেশের কোন অংশই তোমাদের দেব না, এমন কি, পা রাখবার জায়গা পর্যন্ত না। আমি সেয়ীরের এই পাহাড়ী এলাকা ইস্কে তার নিজের দেশ হিসাবে দিয়েছি।
6. তাদের কাছ থেকে খাবার ও পানি তোমাদের টাকা দিয়ে কিনে খেতে হবে।’
7. “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ সব কাজেই তোমাদের দোয়া করেছেন। এই মস্ত বড় মরুভূমির মধ্য দিয়ে যাবার সময়ে তিনি তোমাদের দেখাশোনা করেছেন। এই চল্লিশটা বছর তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের সংগেই থেকেছেন আর তোমাদের কোন কিছুর অভাব হয় নি।
8. “কাজেই আমরা আমাদের ভাই সেয়ীরের বাসিন্দা ইসের বংশধরদের ছেড়ে চলে আসলাম। আরবার যে পথটা এলৎ ও ইৎসিয়োন-গেবর থেকে বের হয়ে এসেছে সেই পথ ছেড়ে আমরা মোয়াবের মরুভূমির পথ ধরে চলতে লাগলাম।
9. তারপর মাবুদ আমাকে বললেন, ‘তোমরা মোয়াবীয়দের বিরক্ত কোরো না কিংবা যুদ্ধের উসকানি দিয়ো না, কারণ তাদের দেশের কোন অংশই আমি তোমাদের দেব না। আমি সম্পত্তি হিসাবে আর্ শহরটা লুতের বংশধরদের দিয়েছি।’ ”
16-18. “সেই সব সৈন্যেরা মারা যাওয়ার পরে মাবুদ আমাকে বলেছিলেন, ‘আজ তোমাদের আর্ শহরের পাশ দিয়ে মোয়াব দেশের সীমানা ছেড়ে যেতে হবে।
19. কিন্তু তোমরা যখন অম্মোনীয়দের কাছে গিয়ে পৌঁছাবে তখন তাদের বিরক্ত করবে না বা যুদ্ধের উসকানি দেবে না, কারণ অম্মোনীয়দের দেশের কোন অংশই আমি তোমাদের দেব না। লুতের বংশধরদের আমি সেটা সম্পত্তি হিসাবে দিয়ে দিয়েছি।’ ”
20. ঐ দেশটাকে রফায়ীদের দেশ বলেও মনে করা হত, কারণ সেখানে তারা আগে বাস করত; অম্মোনীয়রা তাদের সম্সুম্মীয় জাতির লোক বলত।
21. রফায়ীয়রা শক্তিশালী এবং সংখ্যায় অনেক ছিল। তারা ছিল অনাকীয়দের মত লম্বা। মাবুদ অম্মোনীয়দের দিয়ে তাদের ধ্বংস করে ফেলেছিলেন; অম্মোনীয়রা রফায়ীয়দের তাড়িয়ে দিয়ে তাদের জায়গায় বাস করছিল।
22. মাবুদ ইসের বংশধরদের ব্যাপারেও সেই একই কাজ করেছিলেন। তিনি তাদের দিয়ে হোরীয়দের ধ্বংস করেছিলেন। তারা হোরীয়দের তাড়িয়ে দিয়ে তাদের জায়গা সেয়ীরে আজও বাস করছে।