34. জেরুজালেমের লোকেরা বলছে, “ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার আমাদের গ্রাস করেছেন, আমাদের চুরমার করেছেন, আমাদের খালি কলসীর মত করেছেন। দানবের মত তিনি আমাদের গিলে ফেলেছেন এবং আমাদের ভাল ভাল খাবার দিয়ে তাঁর পেট ভরেছেন, আর তার পরে আমাদের এঁটোকাঁটার মত দূর করে দিয়েছেন।”
35. সিয়োনের বাসিন্দারা বলছে, “আমাদের শরীরের উপর যে জুলুম করা হয়েছে তা ব্যাবিলনের উপর করা হোক। যারা ব্যাবিলনে বাস করে আমাদের রক্তের জন্য তারা দায়ী থাকুক।”
36. সেইজন্য মাবুদ বলছেন, “হে জেরুজালেম, আমি তোমার পক্ষ হব এবং তোমার হয়ে প্রতিশোধ নেব; আমি তার সাগর শুকিয়ে ফেলব এবং সব ঝর্ণা শুকনা করব।
37. ব্যাবিলন হবে একটা ধ্বংসের ঢিবি, শিয়ালদের বাসস্থান এবং ঠাট্টা-বিদ্রূপের পাত্র। সেখানে কেউ বাস করবে না; তার অবস্থা দেখে লোকেরা হতভম্ব হবে।
38. তার লোকেরা সবাই সিংহের মত গর্জন করবে, সিংহের বাচ্চাদের মত গোঁ গোঁ করবে।
39. তারা উত্তেজিত হলে পর আমি তাদের জন্য একটা মেজবানীর ব্যবস্থা করব। আমি তাদের মাতাল করব যেন তারা আনন্দে মেতে ওঠে, তারপর চিরকালের জন্য ঘুমায়, কখনও না জাগে।
40. বাচ্চা-ভেড়াগুলোর মত করে, ভেড়া ও ছাগলের মত করে আমি তাদের জবাই করবার জায়গায় নিয়ে যাব।
41. “শেশককে, অর্থাৎ ব্যাবিলনকে কেমন বেদখল করা হবে! গোটা দুনিয়ার প্রশংসার পাত্রকে কেমন অধিকার করা হবে! ব্যাবিলনকে দেখে জাতিরা হতভম্ব হবে।
42. ব্যাবিলনের উপরে সমুদ্র উঠে আসবে, তার গর্জন্তকরা ঢেউ তাকে ঢেকে ফেলবে।
43. তার শহরগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। সেগুলো হবে শুকনা ও মরুভূমির দেশ; সেই দেশে কেউ বাস করবে না, তার মধ্য দিয়ে কেউ যাওয়া-আসা করবে না।
44. আমি ব্যাবিলনের বেল দেবতাকে শাস্তি দেব এবং সে যা গিলেছে তা তাকে দিয়ে বমি করাব। জাতিরা আর তার কাছে স্রোতের মত যাবে না। ব্যাবিলনের দেয়ালও পড়ে যাবে।
45. “হে আমার বান্দারা, ব্যাবিলনের মধ্য থেকে বের হয়ে এস। তোমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের জীবন রক্ষা কর। মাবুদের জ্বলন্ত রাগ থেকে দৌড়ে পালাও।
46. যখন নানা গুজব শোনা যাবে তখন হতাশ হোয়ো না বা ভয় পেয়ো না; এক বছরে একটা গুজব উঠবে আর অন্য বছরে আর একটা গুজব উঠবে। সেই গুজব হল, ব্যাবিলনে জুলুম হচ্ছে এবং এক শাসনকর্তা আর এক শাসনকর্তার বিরুদ্ধে উঠছে।
47. এমন সময় নিশ্চয়ই আসছে যখন আমি ব্যাবিলনের মূর্তিগুলোকে শাস্তি দেব; তার গোটা দেশটাই অসম্মানিত হবে আর তার নিহত লোকেরা সবাই তার মধ্যে পড়ে থাকবে।
48. আসমান, জমীন ও সেগুলোর মধ্যেকার সব কিছু ব্যাবিলনের বিষয় নিয়ে আনন্দে চিৎকার করবে, কারণ উত্তর দিক থেকে ধ্বংসকারীরা এসে তাকে আক্রমণ করবে। আমি মাবুদ এই কথা বলছি।
49. ব্যাবিলনের দরুন যেমন সমস্ত দুনিয়াতে লোকেরা মরে পড়ে ছিল তেমনি বনি-ইসরাইলদের হত্যা করবার দরুন ব্যাবিলনীয়দেরও মরে পড়ে থাকতে হবে।
50. তোমরা যারা মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছ তোমরা চলে এস, দেরি কোরো না। দূর দেশে থাকবার সময় মাবুদকে মনে কর এবং জেরুজালেমের বিষয়ে চিন্তা কর।
51. “তোমরা বলেছ, ‘আমাদের বিষয়ে টিট্কারির কথা শুনেছি বলে আমরা অসম্মানিত হয়েছি। লজ্জা আমাদের মুখ ঢেকে ফেলেছে, কারণ মাবুদের ঘরের পবিত্র জায়গাগুলোতে বিদেশীরা ঢুকেছিল।’