4. কিন্তু আজ আমি আপনার হাতের শিকল থেকে আপনাকে মুক্ত করলাম। আপনি যদি চান তবে আমার সংগে আপনি ব্যাবিলনে যেতে পারেন, আমি আপনার দেখাশোনা করব; কিন্তু যদি যেতে না চান তবে যাবেন না। দেখুন, গোটা দেশটা আপনার সামনে পড়ে আছে; আপনি যেখানে খুশী যেতে পারেন।”
5. কিন্তু ইয়ারমিয়া সেখান থেকে যাবার আগেই নবূষরদন বললেন, “আপনি শাফনের নাতি, অর্থাৎ অহীকামের ছেলে গদলিয়ের কাছে ফিরে যান। ব্যাবিলনের বাদশাহ্ এহুদার সব শহরের উপরে গদলিয়কে নিযুক্ত করেছেন। আপনি তাঁর সংগে লোকদের মধ্যেই থাকতে পারেন কিংবা আপনার খুশীমত অন্য কোথাও যেতে পারেন।”তারপর সেনাপতি তাঁকে খাবার-দাবার ও উপহার দিয়ে বিদায় দিলেন।
6. তখন ইয়ারমিয়া মিসপাতে অহীকামের ছেলে গদলিয়ের কাছে গিয়ে তাঁর সংগে দেশে রেখে যাওয়া লোকদের মধ্যেই রইলেন।
7. সেই সময় এহুদার সৈন্যদলের যে সব সেনাপতি ও তাদের লোকেরা খোলা মাঠে ছিল তারা শুনল যে, অহীকামের ছেলে গদলিয়কে ব্যাবিলনের বাদশাহ্ দেশের শাসনকর্তা হিসাবে নিযুক্ত করেছেন এবং যাদের বন্দী করে ব্যাবিলনে নিয়ে যাওয়া হয় নি দেশের সেই সব গরীব পুরুষ, স্ত্রীলোক ও ছেলেমেয়েদের ভার তাঁর হাতে দেওয়া হয়েছে।
8. তখন সেই সৈন্যেরা, অর্থাৎ নথনিয়ের ছেলে ইসমাইল, কারেহের দুই ছেলে যোহানন ও যোনাথন, তন্হূমতের ছেলে সরায়, নটোফাতীয় এফয়ের ছেলেরা এবং মাখাথীয়ের ছেলে যাসনিয় ও তাদের লোকেরা মিসপাতে গদলিয়ের কাছে আসল।
9. শাফনের নাতি, অর্থাৎ অহীকামের ছেলে গদলিয় তাদের ও তাদের লোকদের কাছে কসম খেয়ে এই কথা বললেন, “ব্যাবিলনীয়দের অধীন হতে তোমরা ভয় কোরো না; দেশে বাস কর ও ব্যাবিলনের বাদশাহ্র অধীন হও, এতে তোমাদের ভাল হবে।