2. সিদিকিয়ের রাজত্বের এগারো বছরের চতুর্থ মাসের নবম দিনে শহরের দেয়ালের এক জায়গা ভেংগে ফেলা হল।
3. তখন ব্যাবিলনের বাদশাহ্র সব রাজকর্মচারীরা, অর্থাৎ নের্গল-শরেৎসর, সমগরনবো, শর্সখীম নামে একজন প্রধান কর্মচারী, নের্গল-শরেৎসর নামে উঁচু পদের একজন রাজকর্মচারী এবং ব্যাবিলনের বাদশাহ্র অন্যান্য সব কর্মচারীরা এসে মাঝ-দরজায় বসলেন।
4. এহুদার বাদশাহ্ সিদিকিয় ও তাঁর সমস্ত সৈন্য তাঁদের দেখে পালিয়ে গেলেন; তাঁরা রাতের বেলায় বাদশাহ্র বাগানের পথ ধরে দুই দেয়ালের দরজা দিয়ে শহর ত্যাগ করে আরবার দিকে গেলেন।
5. কিন্তু ব্যাবিলনীয় সৈন্যেরা তাঁদের পিছনে তাড়া করে জেরিকোর সমভূমিতে সিদিকিয়কে ধরে ফেলল। তারা তাঁকে ধরে হামা দেশের রিব্লাতে ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসারের কাছে নিয়ে গেল। বখতে-নাসার তাঁর শাস্তির হুকুম দিলেন।
6. ব্যাবিলনের বাদশাহ্ রিব্লাতে সিদিকিয়ের চোখের সামনেই তাঁর ছেলেদের হত্যা করলেন এবং এহুদার সমস্ত রাজকর্মচারীদেরও হত্যা করলেন।
7. তারপর তিনি সিদিকিয়ের চোখ তুলে ফেলে তাঁকে ব্যাবিলনে নিয়ে যাবার জন্য ব্রোঞ্জের শিকল দিয়ে বাঁধলেন।
8. ব্যাবিলনীয়রা রাজবাড়ীতে ও লোকদের বাড়ী-ঘরে আগুন লাগিয়ে দিল এবং জেরুজালেমের দেয়াল ভেংগে ফেলল।
9. সেই সময় যারা শহরে থেকে গিয়েছিল, যারা ব্যাবিলনের পক্ষে গিয়েছিল এবং দেশের বাকী লোকদের ব্যাবিলনের বাদশাহ্র রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন বন্দী করে ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন।
13-14. কাজেই রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন, নবূশস্বন নামে একজন প্রধান কর্মচারী, নের্গল-শরেৎসর নামে একজন উঁচু পদের কর্মচারী ও ব্যাবিলনের বাদশাহ্র অন্য সব উঁচু পদের কর্মচারীরা লোক পাঠিয়ে পাহারাদারদের উঠান থেকে ইয়ারমিয়াকে বের করে আনলেন। ইয়ারমিয়াকে তাঁর বাড়ীতে নিয়ে যাবার জন্য তাঁরা অহীকামের ছেলে গদলিয়ের হাতে দিলেন; অহীকাম ছিল শাফনের ছেলে। ইয়ারমিয়া তাঁর নিজের লোকদের মধ্যেই রইলেন।
15. ইয়ারমিয়া যখন পাহারাদারদের উঠানে বন্দী ছিলেন তখন মাবুদের এই কালাম তাঁর উপর নাজেল হয়েছিল,
16. “ইথিওপীয় এবদ-মেলকের কাছে গিয়ে বল যে, ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলেছেন, ‘উপকার দিয়ে নয় বরং অপকারের মধ্য দিয়ে আমি এই শহরের বিরুদ্ধে আমার কালাম সফল করতে যাচ্ছি। সেই সময় তোমার চোখের সামনেই তা পূর্ণ হবে,
17. কিন্তু আমি তোমাকে উদ্ধার করব। যাদের তুমি ভয় কর তাদের হাতে তোমাকে দেওয়া হবে না।
18. আমি নিশ্চয়ই তোমাকে রক্ষা করব; তোমাকে হত্যা করা হবে না, বরং তুমি কোনমতে তোমার প্রাণ রক্ষা করবে, কারণ তুমি আমার উপর ভরসা করেছ। আমি মাবুদ এই কথা বলছি।’ ”