3. তখন কারুবীরা বায়তুল-মোকাদ্দসের দক্ষিণ দিকে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর ভিতরের উঠানটা মেঘে ভরে গেল।
4. সেই সময় মাবুদের মহিমা কারুবীদের উপর থেকে উঠে বায়তুল-মোকাদ্দসের চৌকাঠের দিকে চলে গেল। বায়তুল-মোকাদ্দস মেঘে ভরে গেল, আর তখন মাবুদের মহিমার আলোয় উঠানটা ভরা ছিল।
5. কারুবীদের ডানার আওয়াজ বাইরের উঠান পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল; সেই আওয়াজটা ছিল সর্বশক্তিমান মাবুদের কথা বলবার আওয়াজের মত।
6. মাবুদ যখন মসীনার কাপড় পরা লোকটিকে এই হুকুম দিয়েছিলেন, “তুমি কারুবীদের মাঝখানে চাকার মধ্য থেকে আগুন নাও,” তখন লোকটি ভিতরে গিয়ে একটা চাকার পাশে দাঁড়ালেন।
9. পরে আমি তাকিয়ে কারুবীদের প্রত্যেকের পাশে একটা করে মোট চারটা চাকা দেখতে পেলাম; চাকাগুলো বৈদুর্যমণির মত ঝক্মক করছিল।
10. সেই চারটা চাকা দেখতে একই রকম ছিল; একটা চাকার ভিতরে যেন আর একটা চাকা।
11. চলবার সময় সেই চাকাগুলো চারদিকের যে কোন দিকে সোজা চলত; অন্য কোন দিকে ফিরত না। কারুবীদের মাথা যে দিকে থাকত তাঁরা সেদিকেই চলতেন; চলবার সময় ফিরতেন না।
12. তাঁদের চারটা চাকাতে, গোটা শরীরে, পিঠে, হাতে এবং ডানার চারপাশ চোখে ভরা ছিল।
13. আমি শুনলাম চাকাগুলোকে “ঘুরন্ত চাকা” বলে ডাকা হচ্ছে।
14. প্রত্যেকটি কারুবীর চারটা করে মুখ ছিল- প্রথমটা কারুবীর, দ্বিতীয়টা মানুষের, তৃতীয়টা সিংহের এবং চতুর্থটা ঈগল পাখীর।
15. তারপর সেই কারুবীরা উপরের দিকে উঠলেন। এঁরাই সেই প্রাণী যাঁদের আমি কবার নদীর ধারে দেখতে পেয়েছিলাম।
16. কারুবীরা চললে তাঁদের পাশে চাকাগুলোও চলত; কারুবীরা মাটি ছেড়ে উপরে উঠবার জন্য ডানা মেললে চাকাগুলো তাঁদের পাশ ছাড়ত না।