16. সেইজন্য দীন-দুনিয়ার মালিক আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন আশেরিয়ার শক্তিশালী যোদ্ধাদের উপর একটা ক্ষয়-করা রোগ পাঠিয়ে দেবেন; তার জাঁকজমকের নীচে জ্বলন্ত শিখার মত করে আগুন জ্বালানো হবে।
17. ইসরাইলের আলো হবেন আগুনের মত; তাদের আল্লাহ্ পাক হবেন একটা শিখার মত। সেই আগুন একদিনে তার সব কাঁটাঝোপ আর কাঁটাগাছ পুড়িয়ে ফেলবে।
18. যেমন করে একজন রোগী ক্ষয় হয়ে যায়, তেমনি করে সেই আগুন আশেরিয়ার সব গভীর বন ও উর্বর ক্ষেত-খামার সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে ফেলবে।
19. তার বনের বাকী গাছগুলো সংখ্যায় এত কম হবে যে, একজন ছোট ছেলেও তা গুণে লিখতে পারবে।
20. সেই দিন ইসরাইলের বেঁচে থাকা বান্দারা, অর্থাৎ ইয়াকুবের বংশের বাকী লোকেরা তাদের আঘাতকারীদের উপর আর ভরসা করবে না, কিন্তু মাবুদের উপর, ইসরাইলের আল্লাহ্ পাকের উপর সত্যিই ভরসা করবে।
21. বেঁচে থাকা বান্দারা ফিরে আসবে; ইয়াকুবের বাকী লোকেরা শক্তিশালী আল্লাহ্র কাছে ফিরে আসবে।
22. হে ইসরাইল, যদিও তোমার লোকসংখ্যা সমুদ্র-পারের বালুকণার মত তবুও মাত্র অল্প লোকই ফিরে আসবে। ইসরাইলের জন্য ধ্বংস ঠিক করা আছে এবং সেই ন্যায্য শাস্তি তাদের উপর আসবেই আসবে।
23. গোটা দেশের উপর যে ধ্বংস ঠিক করা আছে সেইমত দীন-দুনিয়ার মালিক আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন কাজ করবেন।
24. সেইজন্য দীন-দুনিয়ার মালিক আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলছেন, “হে আমার বান্দারা, তোমরা যারা সিয়োনে থাক, যদিও আশেরীয়রা মিসর দেশের মত করে তোমাদের লাঠি দিয়ে মারে আর তোমাদের বিরুদ্ধে গদা তোলে তবুও তোমরা তাদের ভয় কোরো না।
25. তোমাদের উপরে আমার রাগ খুব শীঘ্রই শেষ হবে, আর তা আশেরীয়দের ধ্বংস করবে।”
26. আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন ওরেব পাহাড়ে মাদিয়ানকে আঘাত করবার সময় যেমন করেছিলেন তেমনি করে তিনি চাবুক দিয়ে আশেরীয়দের মারবেন। মিসরে যেমন করেছিলেন তেমনি করেই তিনি পানির উপরে তাঁর লাঠি উঠাবেন।
27. সেই দিন তোমাদের কাঁধ থেকে তাদের বোঝা, তোমাদের ঘাড় থেকে তাদের জোয়াল তুলে নেওয়া হবে; তোমরা মোটা হয়েছ বলে সেই জোয়াল ভেংগে পড়বে।
28. তারা অয়াতে ঢুকেছে, মিগ্রোণ পার হয়ে গেছে; তারা মিক্মসে তাদের জিনিসপত্র রেখে গেছে।
29. তারা গিরিপথ পার হয়ে এসে বলছে, “আমরা গেবাতে ছাউনি ফেলে রাত কাটাব।” এতে রামা কাঁপছে, তালুতের গিবিয়ার লোকেরা পালিয়ে যাচ্ছে।