11. কিন্তু মসীহ্ এসেছিলেন ভবিষ্যতের সব উন্নতির বিষয়ের মহা-ইমাম হয়ে। আরও মহৎ ও আরও ভাল এবাদত-তাম্বুতে আল্লাহ্র এবাদত-কাজ করবার জন্য তিনি এসেছিলেন। এই তাম্বু মানুষের হাতে তৈরী নয়, অর্থাৎ তা দুনিয়ার কোন জিনিস নয়।
12. ছাগল ও বাছুরের রক্ত নিয়ে মসীহ্ সেই মহাপবিত্র স্থানে ঢোকেন নি। তিনি নিজের রক্ত নিয়ে একবারই সেখানে ঢুকেছিলেন। এইভাবে তিনি চিরকালের জন্য গুনাহ্ থেকে মুক্তির উপায় করলেন।
13. যারা নাপাক হত তাদের উপর ছাগল ও ষাঁড়ের রক্ত বা বাছুর-পোড়ানো ছাই ছিটানো হত; তাতে তাদের বাইরের শরীরটাই কেবল পাক-সাফ হয়ে পরিষ্কার হত।
14. কিন্তু যিনি অনন্ত পাক-রূহের মধ্য দিয়ে আল্লাহ্র কাছে নিজেকে নিখুঁত কোরবানী হিসাবে দান করলেন সেই ঈসার রক্ত আমাদের বিবেককে নিষ্ফল কাজকর্ম থেকে আরও কত না বেশী করে পাক-সাফ করবে, যাতে আমরা জীবন্ত আল্লাহ্র এবাদত করতে পারি!
15. আল্লাহ্ যাদের ডেকে চিরকালের অধিকার দেবার ওয়াদা করেছিলেন তারা যেন তা পায় সেইজন্যই মসীহ্ একটা নতুন ব্যবস্থার মধ্যস' হয়েছেন। এই অধিকার পাওয়া মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়েছে, কারণ প্রথম ব্যবস্থা বহাল থাকবার সময়ে মানুষ যে সব গুনাহ্ করেছিল সেই সব গুনাহের হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করবার মূল্য হিসাবে মসীহ্ প্রাণ দিয়েছিলেন।
16. উইল কাজে লাগাতে হলে উইল যে করেছে তার মৃত্যুর প্রমাণের দরকার,
17. কারণ মানুষ মরলে পরেই উইল কাজে লাগানো যায়। যে উইল করেছে সে বেঁচে থাকতে সেই উইল কাজে লাগানো যায় না।
18. ঠিক সেইভাবে প্রথম ব্যবস্থাটিও রক্ত ছাড়া কাজে লাগানো হয় নি।
19. সব লোকদের কাছে শরীয়তের প্রত্যেকটি হুকুম ঘোষণা করবার পর মূসা বাছুর ও ছাগলের রক্ত নিলেন এবং তার সংগে পানি মিশিয়ে লাল রংগে রাংগানো ভেড়ার লোম আর এসোব গাছের ডাল দিয়ে তা শরীয়তের কিতাবের উপরে ও লোকদের উপরে ছিটিয়ে দিলেন।
20. তা করবার সময়ে তিনি বলেছিলেন, “এই সেই ব্যবস্থার রক্ত, যে ব্যবস্থা অনুসারে কাজ করতে আল্লাহ্ তোমাদের হুকুম দিয়েছেন।”
21. এবাদত-তাম্বু এবং এবাদতের কাজে ব্যবহার করবার সব জিনিসের উপরেও মূসা ঐ একইভাবে রক্ত ছিটিয়ে দিয়েছিলেন।
22. মূসার শরীয়ত মতে প্রায় প্রত্যেক জিনিসই রক্তের দ্বারা পাক-সাফ করা হয় এবং রক্তপাত না হলে গুনাহের মাফ হয় না।
23. যা বেহেশতী জিনিসের নকলমাত্র সেগুলো পশু কোরবানীর দ্বারা পাক-সাফ করবার দরকার ছিল কিন্তু যা আসলেই বেহেশতী জিনিস সেগুলো পাক-সাফ করবার জন্য আরও মহান কোরবানীর দরকার।