2. আর এস, আমাদের চোখ ঈসার উপর স্থির রাখি যিনি ঈমানের ভিত্তি ও পূর্ণতা। তাঁর সামনে যে আনন্দ রাখা হয়েছিল তারই জন্য তিনি অসম্মানের দিকে না তাকিয়ে ক্রুশীয় মৃত্যু সহ্য করলেন এবং এখন আল্লাহ্র সিংহাসনের ডান দিকে বসে আছেন।
3. যিনি গুনাহ্গারদের এত বড় শত্রুতা সহ্য করলেন তোমরা তাঁর বিষয়ে চিন্তা কর, যেন তোমাদের মন দুর্বল ও নিরাশ হয়ে না পড়ে।
4. গুনাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে তোমাদের তো এখনও রক্তপাত হবার মত অবস্থা হয় নি।
5. আল্লাহ্ তাঁর সন্তান হিসাবে তোমাদের উৎসাহ দিয়ে যে কথা বলেছেন তা তোমরা ভুলে গেছ। তিনি বলেছেন,ছেলে আমার, মাবুদের শাসনকে তুচ্ছ কোরো না,আর তিনি যখন বকুনি দেনতখন নিরাশ হোয়ো না;
6. কারণ মাবুদ যাকে মহব্বত করেন তাকেই শাসন করেন,আর সন্তান হিসাবে যাদের গ্রহণ করেন,তাদের প্রত্যেককে তিনি শাস্তি দেন।
7. তোমরা এই সব কষ্ট শাসন হিসাবে ভোগ করছ। আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি পিতার মতই ব্যবহার করছেন। এমন ছেলে কি কেউ আছে যাকে তার বাবা শাসন করেন না?
8. প্রত্যেক ছেলেকেই শাসন করা হয়। তোমরা যদি শাসন না পেয়ে থাক তবে তো তোমরা জারজ, সত্যিকারের সন্তান নও।
9. এছাড়া আমরা দেখেছি, আমাদের জাগতিক পিতারা আমাদের শাসন করতেন এবং আমরা তাঁদের সম্মান করতাম। তাহলে যিনি সমস্ত রূহ্দের পিতা তাঁর অধীন থাকা কি আমাদের আরও উচিত নয়, যাতে আমরা জীবন পাই?
18-19. যে জ্বলন্ত পাহাড় ছোঁয়া যায় সেই রকম কোন পাহাড়ের কাছে তোমরা আস নি। তোমরা ভীষণ অন্ধকার ও ঝড় বা কোন শিংগার শব্দ ও কথার শব্দের কাছেও আস নি। যারা সেই কথা শুনেছিল তারা মিনতি করে বলেছিল যেন তাদের কাছে আর কিছু বলা না হয়,
20. কারণ তারা এই নির্দেশ সহ্য করতে পারে নি- “কোন পশুও যদি সেই পাহাড় ছোঁয় তবে তাকে পাথর মারা হবে।”
21. যা দেখা গিয়েছিল তা এমন ভয়ংকর ছিল যে, মূসা বলেছিলেন, “আমি ভয়ে কাঁপছি।”
22. তোমরা তো সিয়োন পাহাড় ও জীবন্ত আল্লাহ্র শহরের কাছে এসেছ। সেই শহর হল বেহেশতের জেরুজালেম। তোমরা হাজার হাজার ফেরেশতাদের আনন্দ উৎসবের কাছে এসেছ;
23. প্রথম সন্তানের অধিকার পাওয়া লোক হিসাবে যাঁদের নাম বেহেশতে লেখা আছে তাঁদের দ্বারা গড়া জামাতের কাছে এসেছ; যিনি সব লোকদের বিচারক সেই আল্লাহ্র কাছে এসেছ; যে সব লোকেরা পূর্ণতা লাভ করেছে সেই সব ধার্মিক লোকদের রূহ্র কাছে এসেছ;